আমাদের ভারত, কোচবিহার, ২০ জানুয়ারি: চিকিৎসার গাফিলতিতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র কোচবিহারের এক বেসরকারি হাসপাতাল। জাতীয় সড়ক অবরোধ, হাসপাতাল ভাঙ্গচুর, হাসপাতালের গাড়ি ভাঙ্গচুরের অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ পথ অবরোধ তুলতে গেলে উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপর চড়াও হয়, পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙ্গচুরের পাশাপাশি আইসি সহ বেশ কয়েক জন পুলিশ কর্মী আহত হয়। ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানাগেছে, গত ১১ জানুয়ারি স্থানীয় এক স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র পার্থ ভৌমিক পথ দুর্ঘটনায় অহত হয়ে চকচকা এলাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়। সোমবার সকালে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত ছাত্রীর পরিবারের দাবি চিকিৎসার গাফিলতির জন্যই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের, ঘটনার প্রতিবাদে আজ চকচকা এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্কুলের ছাত্র ছাত্রী ও স্থানীয় মানুষজন। খবর পেয়ে কোতয়ালী ও পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ পথ অবরোধ তুলতে গেলে উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপর চড়াও হয়। ঘটনায় কোতোয়ালি থানার আইসি সৌমজিত রায় সহ বেশ কয়েক জন পুলিশ কর্মী আহত হয়।
পুলিশের গাড়ি ভাঙ্গচুরের অভিযোগ অবরোধকারীদের দিকে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে, এরপরে আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা, পুলিশের গাড়ি ভাঙ্গচুর করা হয়, বাদ যায়নি হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স সহ বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়িও। বিক্ষোভকারীদের সরাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল পাঠায় পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি ছাত্রটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ভালো চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়, কিন্তু বাড়ির লোক এখানেই চিকিৎসা চালাতে চান। সেইমতো চিকিৎসা চলছিল। আজ সকালে ছেলেটির মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই ধরনের হামলা বন্ধ না হলে তারা পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা ভাবছেন।