আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৬ অক্টোবর: এক মহিলাকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তাকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠলো প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানা এলাকায়।
জানাগেছে, শুক্রবার ভোর রাতে ওই মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর ও ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর তার মুখে কীটনাশক ঢেলে মারার চেষ্টা করা হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূ পটাশপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন তাঁর স্বামী। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গ্রামেরই এক ব্যক্তি তাকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে বেধড়ক মারধর করে ধর্ষণ করা হয়। শেষে ওই গৃহবধূর মুখে কীটনাশক ঢেলে দিয়ে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
এরপর স্থানীয় মানুষজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীকালে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে তমলুকের একটি বেসরকারি নার্সিংহোম স্থানান্তরিত করা হয়। আজ সকালে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি সামনে আসতেই এলাকায় জনরোষ ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত ব্যক্তি সুখচাঁদ মাইতিকে বাড়ি থেকে বের করে এনে গণধোলাই দেয়। এলাকায় পুলিশ গেলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশের সামনেই গণধোলাই চলে সুখচাঁদ মাইতিকে।
গণধোলাইয়ে গুরুতরভাবে জখম হয় সুখচাঁদ মাইতি। আহতকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তমলুকের বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে মৃত মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য তাম্রলিপ্ত গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছে পটাশপুর থানার পুলিশ।
এই ঘটনার সঙ্গে সুখচাঁদের সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।