আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৩০ ডিসেম্বর: হিলি চেকপোষ্ট দিয়ে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে অতিরিক্ত পণ্য রপ্তানী ও তোলাবাজির অভিযোগ। শুল্ক দপ্তরে গিয়ে খোঁজ নিলেন সাংসদ। একাধিক অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা সুপারিন্টেন্ডের সঙ্গে। কড়া ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস আধিকারিকদের। সোমবার হিলি চেকপোষ্টে শুল্ক দপ্তরে গিয়ে বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধা নিয়ে সুপারিন্টেন্ডের সাথে কথা বলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের মদতে ওভার লোডিং, তোলাবাজি সহ একাধিক সমস্যা নিয়ে আধিকারিকদের কাছে সরব হন সাংসদ। লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে এক্সপোর্টের নানা নিয়ম বহির্ভূত কাজের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবার দাবিও জানান আধিকারিকদের কাছে।
সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, পণ্য পরিবহণ নিয়ে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। সেইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে শুল্ক দপ্তরে গিয়ে তিনি কথা বলেছেন। অবিলম্বে এসব নিয়ম বহির্ভূত কাজ বন্ধ করবার দাবি জানানো হয়েছে আধিকারিকদের। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগও জানাবেন তিনি বলেও জানিয়েছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের আন্তর্জাতিক বর্হিঃবাণিজ্য কেন্দ্র হিলি চেকপোষ্ট। প্রতিদিন প্রায় ২০০ লরি বিভিন্ন পণ্য আমদানি রপ্তানি করে থাকে। আর যাকে ঘিরে অভিযোগ উঠেছে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণের। অভিযোগ পুলিশকে টাকা খাইয়ে লরিতে ওভার লোডিং করে নিজেদের কাজ হাসিল করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। যার কারণে রাস্তার ক্ষতি সহ রাজস্ব আদায়েও ঘাটতির অভিযোগ শুল্ক দপ্তরের সামনে আনেন সাংসদ। এদিন এমন সব বিষয় নিয়েই দপ্তরের আধিকারকের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন বালুরঘাটের সাংসদ।
শুল্ক দপ্তরের সুপারিন্টেন্ড সুব্রত সরকার বলেন, পণ্য পরিবহণ সহ একাধিক বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন। তারাও একাধিক বিষয় তুলে ধরেছেন সাংসদের কাছে।
হিলি এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সনজিৎ মজুমদার জানিয়েছেন, হিলিতে শুল্ক দপ্তরে এসেছিলেন সাংসদ। পন্য পরিবহন নিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। অতিরিক্ত পন্য পরিবহনের যে অভিযোগ উঠেছে তাও ভিত্তিহীন।