আমাদের ভারত, ১৬ অক্টোবর: সোমবার থেকে চার দিনের জন্য উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হচ্ছে আরএসএস-এর কার্য সমিতির সভা। বিজয় দশমীর দিন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে সংগঠনের সামনে নয়া দিশা নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার সেই বিষয়ে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করতে বৈঠকে বসতে চলেছেন সংঘের নেতৃত্ব। জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিল আনার দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে বৈঠকে।
এবছরের বিজয়া দশমীতে মূলত ধর্ম ভিত্তিক সামাজিক ভারসাম্য বজায় রাখা, মাতৃভাষায় শিক্ষার মতো বিষয়গুলো নিয়ে বক্তব্য রাখেন ভাগবত। আজ সংঘ পরিবারের মুখপাত্র সুনীল আম্বেকার বলেন, বিজয়া দশমীতে যে বিষয়গুলি নিয়ে সংঘ প্রধান বক্তব্য রেখেছিলেন সেগুলি যাতে আগামী দিনে রূপায়িত করা সম্ভব হয়, তা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হবে। মূলত জন্মনিয়ন্ত্রণ বিল আনার দাবিতে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে আরএসএস।
এছাড়াও ২০২৫ সালে দলের ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠন। যার প্রস্তুতিও শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে শাখার প্রায় ৫৫ হাজার দপ্তর রয়েছে। আগামী দিনে তা এক লক্ষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্যের উপর জোর দিতে গিয়ে ভাগবত জানিয়েছিলেন, ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যা ভারসাম্যের অসম ভৌগলিক সীমানা পরিবর্তনের দিকে টেনে নিয়ে যায়। জনসংখ্যার ভারসাম্য না থাকলে টান পড়ে দেশের রসদেও। তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই আইনের পক্ষে সাওয়াল করেছে।
তবে মোদী সরকার কিছুদিন আগে জানিয়েছিল জন্মনিয়ন্ত্রণ বিল আনার কথা তারা এখনো ভাবছে না। কারণ সরকার জানিয়েছে, ২০২৫ সালে দেশের জাতীয় গর্ভধারণের যে হার সরকার নির্ধারণ করেছিল তা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ছুঁয়ে ফেলা সম্ভব হবে।
কিন্তু সরকারের তরফে এই দাবি করা হলেও আগামী দিনে আইন করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পক্ষে সংঘ পরিবার। কারণ তাদের দাবি, এই জন্মের হার মূলত হিন্দু সমাজেই কমছে। মুসলিম সমাজের জন্মহার কমা হিন্দুদের তুলনায় নগণ্য। আরএসএস নেতাদের মতে, এই গতিতে চলে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের মাধ্যমে আগামী দিনে দেশে সংখ্যাগুরু হয়ে দাঁড়াবে মুসলিমরা। সেই কারণেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনার পক্ষপাতী সংঘ পরিবার। তাই সংঘ প্রধানের দেখানো পথেই আগামীকাল থেকে চার দিন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন আনতে কোন পথে আন্দোলন হবে তা ঠিক করতে চলেছে আরএসএস।