আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৫ ফেব্রুয়ারি:
পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানদের স্মরণে মোমবাতি মিছিলে যাওয়ায় এবিভিপির এক সদস্যকে মারধর। মোটরবাইক দিয়ে রাস্তা আটকে কলেজের সামনে রাস্তায় ফেলে বাঁশ, লাঠি ও বন্দুকের বাট দিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল টিএমসিপির সদস্যদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগণার গোবরডাঙ্গা কলেজের সামনে। আহত এবিভিপির সদস্য তুহিন বিশ্বাস আশঙ্কাজনক অবস্থায় বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি। প্রমাণ লোপাট করার উদ্দেশ্যে আহত তুহিন বিশ্বাসের মোবাইল কেড়ে নেয় গোবরডাঙ্গা থানার ওসি উৎপল সাহা, বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানানোর উদ্যোগ নিয়েছিল এবিভিপির সদস্যরা। সেই স্মরণ সভা ভেস্তে দেয় টিএমসিপির সদস্যরা। তাঁদের বেধড়ক মারধর করে কলেজ থেকে বের করে দেয়। তুহিন দাস ও অচিন্ত্য মল্লিকের নেতৃতে এবিভিপির সদস্যরা রাতে মোমবাতি মিছিল করে। এবিভিপির এই মিছিলে কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী সহ সাধারণ মানুষ পা মেলায়। এই মিছিল করে বাড়ি ফেরার পথে কলেজের সামনে তিনটি বাইক নিয়ে টিএমসিপির সদস্য শুভ, ডামু, সত্য সহ আরও কয়েকজন মিলে তুহিনকে মারধর করে বলে অভিযোগ। বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাঁর দুই চোখ ও নাকে আঘাত করে। ঘটনার খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতলে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ এসে তুহিনের কাছ থেকে তাঁর মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এমনকি ওই রাতে তুহিনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর দিদিকে মারধর করে খুনের হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গোবরডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়েরের পরেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
তুহিনের অভিযোগ, মিছিলে যাওয়ার কারণে তৃণমূল নেতা শঙ্কর দত্তের নেতৃত্বে আমাকে মারধর করা হয়েছে। গোবরডাঙ্গা থানার পুলিশ তৃণমূলের দালালি করছে। অভিযুক্তদের মদত দিচ্ছে থানার ওসি উৎপল সাহা।
এই ঘটনায় শনিবার এবিভিপির জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে গোবরডাঙ্গা থানার ওসির বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল করে থানার সামনে বিক্ষোভ দাখায়। পরে স্মারকলিপি জমা দেয়।