আমাদের ভারত, কোচবিহার, ২১ এপ্রিল: বিজেপি সাংসদদের ত্রাণ বিলিতে বাধা দেওয়ার পর এবার অনলাইন ক্লাস নিয়েও রাজনীতির অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে। লকডাউনের সময় ছাত্র ছাত্রীরা যাতে অনলাইনে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে তার জন্য কোচবিহার জেলা এবিভিপির পক্ষ থেকে, তাদের ফেসবুক পেজে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছি সম্পূর্ণ অবৈতনিক। অভিযোগ, ক্লাস শুরু হওয়ার কিছু দিন পর থেকেই পুলিশের তরফ থেকে যে সব শিক্ষকরা এই ক্লাস নিচ্ছিলেন তাদের সাবধান করা হয়। এমনকি যে সব স্কুল শিক্ষকরা এই ক্লাস নিচ্ছিলেন তাদের ক্লাস না নেবার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এরপর বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সংঘের পক্ষ থেকে কোচবিহার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) কে অনুমতি পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু ডিআই জানিয়ে দেন তাদের আবেদন বিকাশ ভবনে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতি এলেই এই ক্লাস নেওয়া যাবে। আর এতেই রাজনীতি দেখেছে এবিভিবি।
এবিভিপির জেলা সংযোজক দেবব্রত ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন,“এই অনলাইন ক্লাস ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল বলেই শাসক দল প্রশাসনকে ব্যবহার করে এই ক্লাস বন্ধ করেছে”।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সংঘের জেলা সভাপতি সুমন কর্মকার বলেন,“এবিভিপি যখন আমাদের ক্লাসের জন্য বলে আমরা রাজি হই, কিন্তু ক্লাস শুরু হওয়ার পর পুলিসের পক্ষ থেকে ফোন করে জানানো হয় এই ভাবে ক্লাস নেওয়া যাবে না। পুলিশের পর ডিআই অফিস থেকে ফোন করে এই কাজ করতে না করা হয়। পরে আমরা ক্লাস বন্ধ রেখে অনুমতির জন্য চিঠি পাঠিয়েছি,”। তিনি বলেন, আমরা হতবাক যখন সরকার অনলাইন ক্লাসকে উৎসাহিত করছে তখন অবৈতনিক এই ক্লাস কেন বন্ধ করা হল,”। এই ঘটনায় হতবাক জেলার শিক্ষা মহল।
এই ঘটনা নিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রবিনা তামাং বলেন, “ বিনা অনুমতিতে এই ভাবে ক্লাস নেওয়া যায় না। সংগঠনের পক্ষ থেকে আমাকে আবেদন করা হয়েছে। আমি তা বিকাশ ভবনে পাঠিয়েছি, অনুমতি এলেই অনলাইন ক্লাস চালু করতে পারবেন তারা।