আমাদের ভারত, ১৩ ডিসেম্বর: বিধানসভা নির্বাচনের আগে সরগরম বাংলার রাজনীতি। শাসক ও বিরোধীদের তোপ পাল্টা তোপে উত্তপ্ত হচ্ছে পরিবেশ। একদিকে শাসককে পরাজিত করার স্বপ্ন দেখছেন বিরোধীরা, অন্যদিকে আসন ধরে রাখার লড়াই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ শাসক দলের কাছে। এই আবহেই বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার জোর দিয়ে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হবেন না।
শনিবার জাতীয় গ্রন্থাগারের বিজেপির মৎস্যজীবী সেলের একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সেখানে গিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমি আপনাকে বলে দিতে চাই, আমি জ্যোতিষী নই, কিন্তু একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিচ্ছি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হবে না, হবে না, হবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্যোধন ও দুঃশাসন বলেও কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত চলবে সেই বার্তাও দিয়েছেন সুকান্তবাবু।
তিনি বলেন, আপনারা যখন ডায়মন্ড হারবারে যান তখন ছবিতে দেখতে পান, এবি ঝুকেগা নেহি। এই স্লোগান সহ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। আমি বলতে চাই, এবি ঝুকেগা নেহি, তাহলে ইডি বা সিবিআই রুকেগা নেহি।
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, বিজেপি যদি সরকারে আসে তাহলে এক টাকা হলেও বেশি দেওয়া হবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে।
অন্যদিকে যুবভারতীর ঘটনায় সরব হয়ে তিনি বলেছেন, যারা ঢিল ছুড়েছে, ভাঙ্গচুর করেছে, তারা তৃণমূল ও অরূপ বিশ্বাসের লোক। মেসির মতো খ্যাতিসম্পন্ন মানুষ কলকাতায় এসেছেন, এটা একটা গর্বের ব্যাপার। কিন্তু যেভাবে তৃণমূল পুরো অনুষ্ঠানকে হাইজ্যাক করে নিয়েছে, তাতেই বোঝা গিয়েছে, তৃণমূল মানেই অসভ্যতা, অভদ্রতা। তাঁর অভিযোগ, খেলাটা যবে থেকে ফুটবলপ্রেমীদের থেকে অরূপ বিশ্বাস, স্বরূপ বিশ্বাস, আর সুজিত বসুদের হাতে চলে গেছে, তবে থেকে এই অবস্থা। তাঁর আরো দাবি, কলকাতা পুলিশ এতটাই অপেশাদার যে এরকম উত্তেজনা সামাল দিতে পারে না।

