নীল বনিক, আমাদের ভারত, ১১ মে: করোনার আতঙ্কের মধ্যেই বঁনগা দিয়ে বাংলাদেশের ট্রাক ছাড়ার জন্য কেন্দ্রের চিঠির জন্য এবার অমিত শাহকে পাল্টা আক্রমন করলেন অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়। সোমবার ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে বানিজ্য চালু রাখার জন্য রাজ্যে করোনা ভাইরাসের রুগির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। যদি বাংলাদেশের কোনও করোনা সংক্রমিত রুগি এরাজ্যে চলে আসে তার দায়িত্ব কে নেবে? এইপ্রশ্ন তুলে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের সঙ্গে বানিজ্য বন্ধ নিয়ে নবান্নকে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। চিঠিতে রাজ্যকে বলা হয়ে ছিল সীমান্তে দাড়িয়ে থাকা ট্রাকগুলি ছাড়তে। সেইপ্রসঙ্গে এদিন অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে করোনার সংক্রমন আরও বৃদ্ধি পেতেপারে। তাই রাজ্য সরকার আন্তর্জাতিক সমস্ত সীমান্ত বন্ধ রেখেছে। করোনা ভাইরাস রুখতে না পারার জন্য এদিন তৃণমূল সাংসদ বলেন, করোনা ভাইরাস দেশে হাঁটতে হাঁটতে আসেনি। প্রথম পর্যায়ের লকডাউনের মধ্যেও আন্তর্জাতিক উড়ান চালুছিল। দিল্লিতে সংসদ চালু ছিল। কেন কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমেই আন্তর্জাতিক বিমান আগে বন্ধ করেনি? আসলে করোনা ভাইরাস রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারা সম্পূর্ন ব্যার্থ। নিজেদের ব্যার্থতা ঢাকতে গিয়ে এখন এরাজ্যের বদনাম করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর পাশাপাশি প্রথম পর্যায়ের লকডাউনের আগে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কেন্দ্রের আলোচনা না করা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। তৃণমূল যুবসভাপতি বলেন, আসলে কেন্দ্রীয় সরকার ভেবেছিল প্রথম পর্যায়ের লকডাউনে সফল হবে কেন্দ্র। কিন্তুু পরে দেখেছে হয়নি। যদি হতো তাহলে সাফ্যলের পুরোপুরি ক্রিমটা বিজেপি কাজে লাগাতো। হয়নি বলেই এখন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনা করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।