আমাদের ভারত, ৮ অক্টোবর: পুরো নিয়োগ দুর্নীতিতে ফিরহাদ হাকিম ও মদন মিত্রের বাড়িতে রবিবার সকাল থেকেই সিবিআই তল্লাশি চালায়। সিবিআইয়ের এই হানায় খুশি হয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছেন তাদের সরিয়ে দেওয়া গেলে দলের দখল নিতে সুবিধা হবে অভিষেকের।
সুকান্ত বলেন, “ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মোটেই চিন্তিত নন বরং খুশি হয়েছেন বলে আমার কাছে খবর।” এইসব দেখিয়ে ওদের মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ায় সহজে দলের কন্ট্রোল দখল নিতে পারবেন অভিষেক। সুকান্তর কথায়, তৃণমূলে এখন দুটি দল তৈরি হয়েছে একটি দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছেন তাদের নিয়ে, অন্যটি অভিষেক ও তার অনুগামী বড় বড় চোরেদের নিয়ে।
সুকান্ত কটাক্ষ করে বলেন, মমতার সঙ্গে রাজনীতি করা পোড় খাওয়া নেতাদের তাড়াতে না পারলে অভিষেককে কেউ নেতা বলে মানবে না। তাই দলের পোস্টার ব্যানার থেকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বাদ পড়েছে। এমনকি মমতার পছন্দের নীল সাদা রং বাদ পড়েছে অভিষেকের ধর্না মঞ্চে।
তিনি বলেন, এখন দুটো তৃণমূল চলছে। হরিশ চ্যাটার্জি এবং হরিশ ব্যানার্জি। নব্য ও পুরনো তৃণমূল। পুরনো লোকদের ছাঁটাই করে নতুন তৃণমূলের লোক যারা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাদেরকে দলের ক্ষমতায় আনার চেষ্টা চলছে। যারা বড় বড় চোর সেই সব চোরেদের বসানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। পুরনো লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন দলে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দখল করতে। পুরনো নেতারা যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী ছিলেন যারা সিজন পলিটিশিয়ান। তারা থাকলে পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে পার্টির দখল নেওয়া সহজ হবে না। সেজন্য পুরনো তৃণমূলের নেতাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাই এই সময় দল তাদের পাশে দাঁড়াবে না, অভিষেক চান সিবিআই তদন্তে আগে তাদের ধরুক।
পুরো নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রবিবার সকাল ৯টা থেকে ফিরহাদ হাকিম ও মদন মিত্রের বাড়ি ছাড়া রাজ্যের একাধিক পুরো প্রধান ও প্রাক্তন পুরো প্রধানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০১৪ সাল থেকে ৬৮টি পৌরসভায় প্রায় ছয় হাজার নিয়োগের মধ্যে পাঁচ হাজার নিয়ো ভুয়ো।