ভাইপো বলায় রাগ! দিলীপ ঘোষকে গুন্ডা বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

গোপাল রায়, আরামবাগ, ১০ ডিসেম্বর: বিজেপি নেতারা আমার নাম নিয়ে কথা বলতে পারে না। ভাইপো বলে। আমি নাম নিয়ে বলছি অমিত শাহ বহিরাগত, জেপি নাড্ডা বহিরাগত আর দিলীপ ঘোষ গুন্ডা। পারলে আমার নামে অভিযোগ করুক। আরামবাগের গড়বাড়ি ফুটবল মাঠের প্রকাশ্য জনসভায় বৃহস্পতিবার এভাবেই তীব্র ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ২০১৯ এ কয়েকটি জায়গায় সিপিএম কে সঙ্গে নিয়ে আসন দখল করেছে বিজেপি। যারা আগে ছিল সিপিএমের হার্মাদ এখন তারা হয়েছে বিজেপির জল্লাদ। কেউ যদি ভাবেন বাংলায় আবার হিংসা ফিরিয়ে আনবো তাদের বাড়াভাতে ছাই দিতে আর শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা।

বাংলার ‘দুয়ারের সরকার’ কর্মসূচি বন্ধ করতে বিজেপি নির্বাচন কমিশনে নালিশ করবে বলেছে। বন্ধ করতে চাইছে এই প্রকল্প। তারা বলছে দু’শোর বেশি আসনে জয়লাভ করবে। ২০০ তো দূরের কথা বাংলায় খাতা খোলার কেউ থাকবে না। তাই বলছি বিজেপির নেতারা আগে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডটা করিয়ে নিন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে অসুস্থ হবেন। তখন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড প্রয়োজন হবে। কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের রিপোর্ট কার্ড আপনাদের কাছে পৌঁছে যাবে। গত ১০ বছরে আমরা কি করেছি তা আপনাদের জানাবো। আপনারা বিজেপিকে প্রশ্ন করবেন না, বিজেপির রিপোর্ট কার্ড কোথায়? গত সাত বছরে বাংলার জন্য বিজেপি কি কাজ করেছে?

তথ্যের বিনিময়ে লড়াই হোক। ১০-০ গোলে হারাবো বিজেপিকে।

নোট বন্দি, জিএসটি সহ বারে বারে মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি সরকার। সেই লাইন ছিল আতঙ্কের, ভয়ের। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে সরকারে মানুষ লাইন দিয়েছে ভালোবাসা, বিনম্রতা, শ্রদ্ধায়।
যারা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙ্গেছে তাদের কি আপনারা ক্ষমা করবেন? যে দল বাংলায় লিখতে, পড়তে জানে না তাদের কখনো ক্ষমা করবেন?

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিল বলেই আজ অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষ জঙ্গলমহলে আদিবাসীদের বাড়ি যাচ্ছে। ওখানে গিয়ে ৬০০ টাকা কেজি পোস্ত খাচ্ছে। একবার ভেবে দেখুন তো ১০ বছর আগে এরা কি ভাবে জীবনযাপন করতো।

বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, মানুষ তার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে এখানে, আমি কি করবো? লকডাউন এর সময় কোনও বিজেপি নেতার দেখা মেলেনি। একমাত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের পাশে থেকেছেন।
বাংলার ১০ কোটি মানুষের জনসমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে। কোন উই পোকায় খেতে পারবে না, কালবৈশাখীর ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারবে না এই সরকারকে। ২০১১ ভোটের পরে সারদা, নারদা সহ একাধিক অভিযোগে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল সরকারকে। আপনারা দেখুন পরের বিধানসভা ভোটে ২০০ এর বেশি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। ২০২১ এ ২২৫ এর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিনের সভায় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলার প্রায় সমস্ত বিধায়ক, জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *