আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৭ জুলাই:সাতকালুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ না থাকায় সাপ ও হনুমানের উৎপাতে আতঙ্কিত খুদে পড়ুয়ারা। অভিভাবক ও শিক্ষকদের আবেদনে বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন এলাকার সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের পিপুলবেড়িয়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত কালুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম পাকা হলেও ছাদ টালির। ফলে ইঁদুরের টানে প্রায়ই সাপ চলে আসে ছাত্র-ছাত্রীদের মাথার ওপর। এবং ক্লাস চলাকালীন অবস্থাতেও গায়ে পড়ে যায়। তার উপর থাকে মাঝেমধ্যে হনুমানের উৎপাত। হনুমানের উৎপাতে টালি ভেঙ্গে পড়ে। তাই স্কুলের এই বর্তমান অবস্থায় আতঙ্কে থাকে ছাত্র ছাত্রী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ও অভিভাবকরা।
দীর্ঘদিন ধরে এই স্কুলে কোনো সরকারি টাকা আসেনি। বারবার এসআই থেকে সর্বশিক্ষা দপ্তরে জানিয়েও কাজ হয়নি। অবশেষে গ্রামের মানুষ এলাকার সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে যান। সাংসদকে স্কুল পরিদর্শনে আমন্ত্রণ জানান। তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন একদিন গিয়ে দেখে আসবেন। আজ স্কুলে এসে পরিদর্শন করলেন এবং পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্কুলের ছাদ পাকা করে দেওয়ার আবেদন রাখলেন সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে। তাঁর প্রশ্ন, যেখানে দুর্গাপুজো কমিটির ক্লাবগুলিকে সরকার ৮৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছে সেখানে স্কুলের ছাদ পাকা করার জন্য টাকা নেই কেন সরকারের কাছে? সরকারের কাছে তিনি আবেদন করেছেন অতি শীঘ্রই যেন এই স্কুলের ছাদ করে দেওয়ার জন্য। আবার তিনি এও বলেছেন যে সরকার যদি না পারে তাহলে কলকাতার বিগ বাজেটের ক্লাবগুলি বিশেষ করে ফিরহাদ হাকিমের ক্লাব সহ অন্যান্য ক্লাব ওই সরকারি অনুদানের টাকা পুজোয় খরচ না করে এই স্কুলের যেন ছাদ তৈরি করে দেয় সেই আবেদন করেছেন।
তিনি এও বলেন যে সাংসদ কোটার টাকা থেকে যদি সম্ভব হয় তাহলেও তিনি এই স্কুলের পাকাছাদ করে দেবেন। সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে এই কথা শুনে এলাকার মানুষ খুব খুশি হয়েছেন। তাদের একটাই দাবি টালির চাল খুলে অতি শীঘ্রই পাকার ছাদ তৈরি হয় এবং স্কুলের চারিদিকে যেন বাউন্ডারির ব্যবস্থা করা হয়।