আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ৩ মে: সাড়ে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় এক যুবককে ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। চার বছরের মাথায় অভিযুক্তের সাজা হয়। খুশি ওই শিশুর পরিবার। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি থানা এলাকায় ঘটনা।
২০২১ সালের ১৮ মার্চ ময়নাগুড়ি থানায় ওই শিশু কন্যার পরিবার ধর্ষণের অভিযোগ জানায়। শিশুটির কাকার গুদাম ছিল বাড়ির পিছনে। খেলতে খেলতে ওই কন্যা শিশুটি পাঁচ বছর বয়সের দাদাকে নিয়ে ওই গুদামের সামনে পৌঁছয়। সেই সময় গুদামে কাজ করছিল অভিযুক্ত। নাবালিকার দাদা বোনকে রেখে কৃষি জমির দিতে চলে যায়৷ এই সুযোগে নির্জন গুদামে ওই কর্মী শিশুটিকে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ বাদে দাদা গুদামে ফিরে এসে দেখতে পায় বোনকে ওই যুবক ধর্ষণ করেছে। সেখান থেকে দৌড়ে বাড়ি ফিরে যায় দাদা৷ সবাইকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতেই ওই যুবক জানলা দিয়ে পালিয়ে যায়৷ শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ওই যুবককে গ্রেফতার করে৷
শনিবার জেলা আদালতের বিশেষ পকসো কোর্টের বিচারক রিন্টু সুর অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে কুড়ি বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।
সহকারি সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন, “দোষী যুবককে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড ঘোষণা করেন বিচারক৷ এই মামলায় মোট ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। জেলা লিগাল সার্ভিস অথরিটির থেকে ওই নাবালিকাকে ৫ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছে।”