Gopalnagar, Body, পাওনা টাকা নিয়ে বিবাদ, গোপালনগরে যুবককে পিটিয়ে মারায় গ্রেফতার ৩

আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৪ ফেব্রুয়ারি: সন্ধ্যা রাতে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোপালনগরের চৌবেড়িয়া এলাকায়। মৃত যুবকের নাম আমির হোসেন মন্ডল ওরফে কটা (৪৩)। পেশায় ‌তিনি একজন গাড়ি চালক ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার চৌবেড়িয়া শ্মশান সংলগ্ন বাজারে এই মর্মান্তিক খুনের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সোমবার সন্ধ্যায় নিজের গাড়ি নিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন আমির। কিছুক্ষণ পরই স্থানীয়রা তাকে রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এই অবস্থায় স্থানীয়রাই তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে এরপর বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আমিরের এই মর্মান্তিক খুনের ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। সোমবার রাতেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চৌবেড়িয়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধে নামেন পরিজনেরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গোপালনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ক্ষোভের রেশ চলে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত। এদিন সকালেও ফের বিক্ষোভ শুরু হয় ওই এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরিকল্পিতভাবে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, আমিরের কারও সঙ্গে বড় কোনও শত্রুতা ছিল না। তবে স্থানীয়দের অনেকে মনে করছেন, পুরনো কোনও বিবাদ থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের তৎপরতায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের নাম প্রসেনজিৎ সরকার, অনিমেষ বিশ্বাস ও সৌম্য অধিকারী। পুলিশ ইতিমধ্যে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে অনড় রয়েছেন। আমিরের পরিবারের জিজ্ঞাস্য, কেন খুন করা হল আমিরকে? সত্যিই কি কোনও পুরনো শত্রুতার জেরে খুন, নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনও গভীর ষড়যন্ত্র? এর উত্তর চায় আমিরের পরিবার। পুলিশ তদন্ত জারি রেখেছে। এলাকায় এখনও চাপা আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের আসল কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *