আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ৭ মে: করোনা ভাইরাস রামপুরহাটে থাবা বসানোয় আতঙ্ক ছড়াল রামপুরহাট শহর জুড়ে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কিসের উপর ভর করে কোয়ারেন্টাইনে থাকা আক্রান্ত যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। যদিও তার কোনও সদুত্তর মেলেনি প্রশাসনিক তরফ থেকে। ইতিমধ্যে তার সংস্পর্শে আসা তিন আশা কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রামপুরহাট শহর জুড়ে পাড়ায় ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বীরভূমের তিনজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। পরের দিন সকাল থেকেই এইনিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে রামপুরহাট বগটুই গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এক যুবকের করোনা ধরা পড়ায় শহর জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কারণ কলকাতা থেকে আসা ওই যুবক বাড়ি ফিরে রামপুরহাট শহর ঘুরে বেরিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর তাকে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রাখলেও তার চূড়ান্ত রিপোর্ট আসার আগেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফের বাড়ি ফিরে শরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ায় ওই যুবক। ওই কয়েকদিনে তার সংস্পর্শে আসা ২৭ জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে লালা রস পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় কর্মরত তিন স্বাস্থ্যকর্মীকে পাঁচদিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যদফতর থেকে। এর মধ্যে কারও শরীরে করোনা উপসর্গ পাওয়া গেলে তাদের লালারস সংগ্রহ করে রিপোর্টের জন্য পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে ওই যুবকের রামপুরহাট শহর ঘুরে বেড়ানোর খবর চাউর হতেই আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। শহরের অধিকাংশ গলি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রামপুরহাট পুরসভার ১, ৮, ৯, ৭, ৫, ৩ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তা বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। এলাকার মানুষরা জানিয়েছেন, তারা কোনও বহিরাগতকে পাড়ায় ঢুকতে দেবে না। সেই সঙ্গে শহরের মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে করোনা আক্রান্ত যুবকের চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া হল কার নির্দেশে।