সুশান্ত ঘোষ, বাগদা, ২ সেপ্টেম্বর: শাশুড়ি এবং তিন মেয়েকে চায়ের সঙ্গে মাদকজাতীয় কিছু মিশিয়ে খাইয়ে অচৈতন্য করে এক বাড়ির দুই বউকে নিয়ে পালাল এক যুবক। এমনই অবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার মালিদা গ্রামে। থানার দারস্থ হয়েছেন ওই অপহৃত গৃহবধূরদের স্বামীরা।
এদিকে আবার স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন অভিযুক্ত যুবকের স্ত্রী।
মালিদা গ্রামের বাসিন্দা ইয়াসিন শেখ ও আনিসুর শেখ দুই ভাই। তাদের দুই স্ত্রীর সঙ্গে গ্রামের আরিফ মোল্লার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের দাবি, সোমবার সন্ধ্যায় আনিসুর গ্যারেজের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে দেখতে পান, তাঁর বাবা মা ও তিন মেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েছেন। বাড়িতে নেই স্ত্রী।
পরবর্তীতে বাবা-মা এবং তিন মেয়েকে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে জ্ঞান ফিরলে বাবা মা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় আরিফ গিয়ে দুই বউয়ের কাছে কিছু একটা দিয়ে এসেছিল। তারপরেই চা বানিয়ে দিয়েছিলেন দুই বউ। সেই চা খাওয়ার পর থেকেই তাঁরা অচেতন হয়ে পড়েন।
সেই সময় বড় বউ কুলচান মল্লিক, ছোট বউ নাজমা মন্ডল এবং তাঁর এক মেয়েকে নিয়ে আরিফের সঙ্গে চম্পট দিয়েছে। মঙ্গলবার আনিসুর বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই বিষয়ে আনিসুর শেখ জানিয়েছেন, এর আগেও বৌদি ও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে আরিফ মোল্লা পালিয়েছিল। বাড়িতে ছোট বাচ্চাদের কথা ভেবে ফেরত নিয়ে আসা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আরিফের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে আনিসুর। আরিফের শাস্তির দাবি তুলেছে আনিসুরের বাবা-মা।
অন্যদিকে আরিফের স্ত্রী সোনিয়া মোল্লা বলেন, “আরিফ এবং ওই দুই বউয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, আমি সেটাই চাই। আমার একটা জীবন আছে, আমার বাচ্চাদের জীবন আছে। আমি জানতাম ওদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। দুই বউকে একসঙ্গে নিয়ে পালিয়েছে আরিফ। আরিফের যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়, আমি সেটাই চাই।” লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাগদা থানার পুলিশ।