জয় লাহা, দুর্গাপুর, ২৩ জুন: নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাড়ি সহ ক্যানেলের জলে পড়ে মৃত্যু হল যুবকের।বৃহস্পতিবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের রায়ডাঙ্গা এলাকায় রায়ভান ক্যানেলে। ঘটনায় আহত হয় আরও একজন।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মৃতের নাম সৌমিত্র রায় (২৪)। দুর্গাপুর বীরভানপুর এলাকার বাসিন্দা। পেশায় চাল ব্যাবসায়ী। আহত তার বন্ধু অর্ণব পাল কাঁকসার বিহারপুরের বাসিন্দা। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনায় জানা গেছে, সৌমিত্র’র বাবা কাঞ্চন রায় ডিপিএল’র কর্মী ছিলেন। প্রায় ১২ বছর আগে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর সৌমিত্রর মা সাধনা রায় চাকরি পান। মা ও ছেলে বাড়িতে থাকতেন। বুধবার রাতে সৌমিত্র নিজে চারচাকা গাড়ি চালিয়ে তাঁর বন্ধু অর্ণব পাল’কে নিয়ে পানাগড় গিয়েছিলেন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ি ফিরছিল।
ওই সময় তার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রায়ভান ক্যানেলের জলে পড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীরা তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করার প্রচেষ্টা চালায় এবং পুলিশে খবর দেয়। কচুরি পানায় ভর্তি থাকায় তাদের উদ্ধার করতে সমস্যায় পড়ে এলাকাবাসীরা। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা সৌমিত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এবং অর্ণবকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে বাসিন্দারা। আশপাশের গ্রামবাসীরা জানান, দুর্ঘটনাস্থল বিপদজ্জনক। কাঁকসা সিলামপুর থেকে বিহারপুর হয়ে দুর্গাপুর আসার একমাত্র ওই রাস্তাটি প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশি সংকীর্ণ। রায়ডাঙ্গা’র ওই অংশে রায়ভান ক্যানেলের একটি কার্লভাট রয়েছে। ওই কার্লভাটের এক পাশের গার্ডওয়াল দীর্ঘদিন আগে ভেঙ্গে পড়েছে। গার্ডওয়াল না থাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এদিন সৌমিত্র ও তাঁর বন্ধু। অবিলম্বে গার্ডওয়াল তৈরী করা দরকার।
দুর্গাপুর পুরসভার চার নম্বর বোরো চেয়ারম্যান সুনীল চট্টোপাধ্যায় জানান, “যে কোনও মৃত্যুই বেদনাদায়ক। আমরাও মর্মাহত। খুব শীঘ্রই ওই ক্যানেলে গার্ডওয়াল তৈরী করা হবে।”