রাজেন রায়, কলকাতা, ২৩ সেপ্টেম্বর: রাতভর মেয়ের পাশে থাকার পর সকাল ৭টা নাগাদ বাথরুমে গিয়েছিলেন মা। সেই সময় মেয়ের আর্ত চিৎকার শুনে গিয়ে দেখতে পান, বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে মেয়ের মাথা ফেটে রক্ত ঝরছে। তিনি নার্সদের ও চিকিৎসকদেরও জানান। অভিযোগ, কোনও চিকিৎসক একবারের জন্যও দেখতে আসেনি। ১৩ বছরের কিশোরী ৫ ঘন্টার ওপর মায়ের কোলেই বেলা সাড়ে ১২ টার সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে এসে যে বাচ্চার এরকম ভাবে মৃত্যু হবে, ভাবতে পারেনি উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের মহিষপোতার বাসিন্দা বছর তেরোর ফাল্গুনী দেবনাথের পরিবার। যদিও হাসপাতালের দাবি, রক্তের ইউনিট জোগাড় থেকে সিটি স্ক্যান করতে বলার কোনও নির্দেশই পরিবার পালন করেনি।
জানা গিয়েছে, সোমবার এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ওই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে। অভিযোগ, ক্যান্সার বিভাগ বা ফিমেল মেডিসিন বিভাগে কোনও বেড ফাঁকা না থাকায় জরুরি বিভাগের পাশে এমার্জেন্সি অবজারভেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় ফাল্গুনীকে। এ দিকে ভর্তির পর একবারের জন্য চিকিৎসকরা ফাল্গুনীকে দেখেনি বলে অভিযোগ মা শিখা দেবনাথের। লকডাউনের সময় মাসখানেক ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল ফাল্গুনী। সেখানেই ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আত্মীয় স্বজনের থেকে ধার করে বাকি টাকা জোগাড় করে পরিবার। কিন্তু এভাবে মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না পরিবার।