আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম,২৮ অক্টোবর:
রাত তখন আড়াইটে। সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজের পেছনের রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছিল এক মদ্যপ যুবক। তার পেছনেই বাইকে সওয়ার হয়ে আসে আরও দুই যুবক। এর পরে যে ছবি সিসিটিভি ফুটেজ মারফত পাওয়া গেছে তা দেখে শিউরে উঠতে হয়। নৃশংসতার এক চুড়ান্ত নজিরের সাক্ষী হয়েছে সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজ সংলগ্ন জনবহুল এলাকার রাস্তা। কলেজ পাড়া যাওয়ার এই রাস্তাতেই ঘটেছে নৃশংস হত্যালীলা।
বাইকে আসা দুই যুবক প্রথমে সামনে পায়ে হেঁটে যাওয়া যুবককে জোর করে বাইকে চাপানোর চেষ্টা করে। বাধা পেলে বাইক চালক গাড়ি দাঁড় করিয়ে লাথি মারতে শুরু করে অপর যুবককে। লাথি মেরে মাটিতে ফেলে সঙ্গী বাইক আরোহীকে সেখানে রেখেই বাইক চালিয়ে চলে যায় বাইকের চালক। এরপর দেখতে পাওয়া গেছে সেই ভয়াবহ দৃশ্য। মাটিতে পড়ে যাওয়া যুবককে এবার বাইক থেকে নেমে যাওয়া যুবক রাস্তা থেকে পাথর তুলে পর পর মারতে থাকে মাথায়। ছটফট করতে থাকে যুবক। প্রত্যেকেই যে মদ্যপ অবস্থায় ছিল তা স্পষ্ট হয়েছে তাদের চালচলন দেখে। পাথর দিয়ে থেঁতলে থেঁতলে আঘাত করা হয় মাটিতে পড়ে যাওয়া যুবককে। এরপর হামলাকারী যুবক পায়ে হেঁটে অদৃশ্য হয়ে যায়। সদর সিউড়ির বুকে পাড়ার ভেতরে ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকার এমন ঘটনায় স্তম্ভিত সকলেই।
জানাগেছে, মৃত যুবকের নাম শেখ কুতুবুদ্দিন। বাড়ি সাঁইথিয়ায়। মৃতের দিদি হিরা বিবি জানিয়েছেন, “ভাইয়ের সাথে সিউড়ির কালিপুরের এক বিবাহিতা মহিলার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তার সাথে দেখা করতে প্রায় সিউড়ি আসত। ওই মহিলাই হয়ত এই খুন করিয়েছে।” তবে খুনের প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি।
বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে দ্বন্দের জেরে খুন বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করছে।” জানা গেছে, এই ঘটনায় সিউড়ির দুই যুবক শেখ কায়েশ ও শেখ মোবারককে আটক করেছে পুলিশ।

