Girl, Duttapukur, দত্তপুকুরে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত তরুণীকে ধ*র্ষ*ণ, গ্রেফতার ১ অভিযুক্ত

সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৪ সেপ্টেম্বর: গভীর রাতে উনিশ বছরের এক তরুণীকে হাত মুখ বেধে ধর্ষণ। অভিযোগ প্রতিবেশী দুই যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করতেই হুমকির মুখে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। এই ঘটনায় গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। এখনও অধরা দ্বিতীয়জন। জানা গিয়েছে, চিলেকোঠা দিয়ে ঘরে ঢুকে বছর উনিশের ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে দুই যুবক। উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানায় এনিয়ে অভিযোগ করতেই প্রাণনাশ থেকে শুরু করে আর জি করের মত ঘটনা ঘটিয়ে দেওয়ার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে নির্যাতিতাকে। এক অভিযুক্ত সঞ্জয় দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও অপর অভিযুক্ত শুভ সাহা এখনও অধরা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি এলাকায় বাড়ি ওই দুই অভিযুক্তের। নির্যাতিতা তরুণী তাদেরই প্রতিবেশী। অভিযোগ, দিন কয়েক আগে গভীর রাতে শুভ এবং সঞ্জয় ওই তরুণীর বাড়ির চিলেকোঠা দিয়ে ঘরে ঢোকে। তরুণী একটি ঘরে একাই ঘুমাচ্ছিলেন। পাশের ঘরে ছিলেন তাঁর মা। অভিযুক্তরা প্রথমে মায়ের ঘরে বাইরে থেকে ছিটকানি লাগিয়ে দেয়। এরপরে তাঁরা তরুণীর ঘরে ঢোকে। ঘুমন্ত অবস্থায়তেই এক অভিযুক্ত তরুণীর মুখ এবং গলা চেপে ধরে। ঘুম ভেঙে দু’জনের থেকে নিজেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন তরুণী। কিন্তু নির্যাতিতার পোশাক ছিঁড়ে শ্লীলতাহানি-সহ ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে কোনরকমে নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে মায়ের ঘরের ছিটকানি খুলে দেয় ওই তরুণী। এরপরেই এলাকা ছেড়ে পালায় দুই অভিযুক্ত। ঘটনার পরে দত্তপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় সঞ্জয়কে।

যদিও এখানেই শেষ হয়নি সমস্যা। কেন থানায় অভিযোগ করা হয়েছে, এনিয়ে নির্যাতিতা তরুণী ও তাঁর পরিবারকে লাগাতার হুমকি দিচ্ছে পলাতক অভিযুক্ত শুভ। বেশি বাড়াবাড়ি করলে ‘আর জি কর- এর ঘটনা’ ঘটিয়ে দেওয়া হবে বলেও তরুণীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আতঙ্কে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে এলাকা ছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে ওই তরুণীর পরিবারের তরফে। নির্যাতিতার মা বলেন, মেয়েকে অত্যাচার করা হচ্ছে। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করলেও অপর অভিযুক্ত এখনও ভয় দেখাচ্ছে। অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে আরজিকর- এর ঘটনার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গ্রাম ছাড়া করার হুমকিও দিচ্ছে।

বারাসত জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *