অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ২০ জানুয়ারি:
“পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমি লিখিত অনুরোধ করেছি যেন উনি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে আগামী ২২-শে জানুয়ারি ২০২৪- এর পবিত্র দিনে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করেন।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এই আর্জির ২৪ ঘন্টা বাদেও জবাব আসেনি মুখ্যমন্ত্রী ও নবান্নের তরফে। অভিজ্ঞদের অনুমান, এই নৈঃশব্দ ছুটি দেওয়ার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর অনীহা ও উপেক্ষার ইঙ্গিত। কিন্তু ফেসবুকে সরব হয়েছে নেটনাগরিকদের অনেকে।
ছুটি ঘোষণা করলে, সুকান্তবাবু লিখেছেন,
“বাংলার নতুন প্রজন্ম ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠতে পারবে এবং তাদের মন ভারতীয় গরিমায় প্লাবিত হবে যখন তারা রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার সাক্ষী হয়ে থাকবে…”। ফেসবুকে এই পোস্টের প্রায় ২৬ ঘন্টা বাদে, শনিবার বেলা সাড়ে চারটেয় লাইক, মন্তব্য ও শেয়ার হয়েছে যথাক্রমে ১
হাজার ৯০০, ৪০৪ ও ৪৯১।
সন্দীপ ব্যানার্জি লিখেছেন, “যদিও উনি মানবেন না। কিন্তু ওই পবিত্র দিনে আমরা সবাই আমাদের সব কাজ থেকে বিরত থেকে শুধুমাত্র রাম নামই করবো। কারণ আমাদের আস্থা শ্রী রামের প্রতি অটুট। জয় শ্রী রাম।”
হীরালাল রায় লিখেছেন, “আমরা বাংলাদেশের রামভক্ত। আমাদের ইচ্ছা আছে এই সময়ে না হলেও কোন একসময় রাম মন্দির দর্শন করতে যাওয়ার। জয় শ্রী রাম।”
অপর একটি পোস্টে হীরালালবাবু লিখেছেন, “আমরা আশা করি রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠান আরো জাঁকজমকপূর্ণ হউক। এতে সবার শামিল হওয়ার এই আহ্বান এক ঐতিহাসিক দিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক। মাননীয় মূর্খমন্ত্রীর সেটা অনুসরণ করা জরুরি। তা না হলে ইতিহাস কথা বলবে। এভাবে একপেশে মনোভাব কোনও দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।”
পারিজাত ব্যানার্জি লিখেছেন, “উনি অযোধ্যায় যাবেন না। গেলে তো কান কাটা যাবে। কারণ আগে তো নাক কাটা গেছে। ভয় তো একটা আছেই।” বিজয় সরকার লিখেছেন, “মমতার দ্বারা সব সম্ভব, সে স্বজাতির কোনও কাজ করবে না। সুতরাং তাঁর থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।”
সন্দীপ নন্দী লিখেছেন, “আমাদের স্বাভিমান ফিরে পাওয়ার দিন। গ্লানি মুক্ত এ এক নতুন ভারত।” ক্ষিতিশ চন্দ্র মাহাতো লিখেছেন, “দারুন সুন্দর, আপনার সিদ্ধান্তকে প্রণাম জানাই। বিজেপি-র একজন রাজ্য সভাপতি হিসাবে, বঙ্গবাসীদের জন্য আপনার মনের ভাবনা অদ্ভূত। জয় শ্রী রাম।”
অর্পিতা কর্মকার লিখেছেন, “বিরোধীরা এই রাম মন্দির নিয়ে নানান রকম রাজনৈতিক তকমা লাগাচ্ছে উনি কি গ্রহণ করবেন? দেখা যাক কি হয়!” পলি পাল লিখেছেন, “উনি হিংসাময়ী, ঘাড়তেড়া মহিলা। পশ্চিমবঙ্গের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী, উনি কি বুঝবেন?” সহদেব হালদার লিখেছেন, “মাননীয়া শুধুমাত্র নামেই মমতা, এই নামের কোনো সার্থকতা নেই। কারণ দয়া, করুণা, নিষ্ঠাভাব নেই।”
প্রবীর কুমার দাস লিখেছেন, “আপনি উত্তম বলিয়া তিনি অধম হইবেন না কেন? যিনি প্রভু শ্রীরামের নাম শুনলে তেড়ে আসেন, তাঁর কাছে প্রভু শ্রীরামচন্দ্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন ছুটি আশা করা বৃথা!” বিক্রম রায় লিখেছেন, “উনি বন্ধ করবেন না। উনি ঈদের দিন সব কিছু বন্ধ দেবেন। কিন্তু হিন্দুদের জন্য কিছুই করবে না।”

