স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ২৫ মে: হাইকোর্টে পেশ করা পর্ষদের তালিকায় তথ্যের ভুলে কাঠগড়ায় প্রাথমিক শিক্ষক? বুধবার এমনই অভিযোগে শোরগোল উত্তর দিনাজপুর জেলায়। পর্ষদের পেশ করা তথ্য ভুল বলে দাবি করে কর্নজোড়ায় জেলা স্কুল পরিদর্শকের দ্বারস্থ ওই শিক্ষক। তথ্য যাচাই করে হতবাক স্কুল পরিদর্শকও।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ডালিমগাঁ-র দেওগাঁ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে কর্মরত ওই শিক্ষকের নাম বরুন চন্দ্র রায়। তিনি ২০১৭ সালে করণদিঘি ব্লকের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পান। এরপর কালিয়াগঞ্জের দেওগাঁ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডের তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে ওই শিক্ষকের নাম রয়েছে এবং তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১০ শতাংশেরও কম নম্বর পেয়েছেন বলে উল্লেখ আছে। আর এই খবর পেতেই বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর দিনাজপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদে গিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে তার মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সহ ডিএলএড ট্রেনিং এর যাবতীয় মার্কশিট ও সার্টিফিকেট নিয়ে হাজির হন।
বরুন চন্দ্র রায়ের এই বিষয়ে বক্তব্য, হাইকোর্টের কাছে যে তালিকা পেশ করেছে পর্ষদ তাতে তাঁর সম্পর্কে তথ্য ভুল রয়েছে। তিনি একজন স্নাতকোত্তর পাশ, ডিএলএড প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত। তারপরেও কিভাবে ওই তালিকায় তার নাম এলো তা স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে তার মার্কশিট, সার্টিফিকেট দেখার পর বিষয়টি নিয়ে হতবাক জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকও। তার দাবি, তিনি বিষয়টি পর্ষদকে ফোন মারফৎ জানিয়েছেন। তবে তালিকায় যা তথ্য বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। যদিও এখনো পর্যন্ত সেই তালিকা প্রশাসনিকভাবে তার কাছে আসেনি বলেই তিনি দাবি করেছেন।
তবে তালিকার তথ্য কি আদৌ সঠিক? যদি ভুল হয় তাহলে কিভাবে এই ভ্রান্তিবিলাস? নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে তা এখন তদন্ত সাপেক্ষ বলেও ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।