সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৪ ফেব্রুয়ারি: আদালতের নির্দেশে চাকরি যাওয়ার পর পোস্টার কান্ডকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা বাঁকুড়া সদর থানার পাতালখুড়ি গ্ৰামে। এলাকার তৃণমূল নেতা আদেশ চ্যাটার্জির সরাসরি নাম উল্লেখ করে চাকরি দেওয়ার নামে পাঁচ লক্ষ টাকা ফেরতের দাবি জানিয়ে পোস্টার পড়েছে পাতালখুড়ি গ্ৰামে।
তৃণমূল নেতার নাম উল্লেখ করে ওই পোস্টারে লেখা হয়েছে তোর মতো চুরি করা চাকরি চাই না, চাকরি দেওয়ার নামে নেওয়া পাঁচ লক্ষ টাকা ফেরত না দিলে সকলের সামনে মুখ খুলতে বাধ্য হবো বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে পোস্টারে। আজ সকালে এই পোস্টার গ্ৰামবাসীদের নজরে এলে মুহূর্তের মধ্যে তা চাউর হয়। লাল কালিতে অনভ্যস্ত হাতে লেখা এই পোস্টার এখন আলোচ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকায়। পোস্টারে উল্লেখিত আদেশ চ্যাটার্জি দলীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে নিজে এবং তার দাদার চাকরির ব্যবস্থা করে। নিজে বাঁকুড়া শহরের কাছে বিকনা হাইস্কুলের করনিক ও দাদা উত্তম চ্যাটার্জি বাঁকুড়া শহরের একটি স্কুলের করনিক পদে চাকরি করছিলেন। কারচুপি করে চাকরি করার দায়ে তাদের দু’জনের চাকরি যায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে।
চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর এলাকায় তার নামে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।একাধিক বেকার ছেলের কাছ থেকেই টাকা নিয়েছে বলে কানাঘুষো চলছে। স্হানীয় বিজেপি নেতা ও অঞ্চল সভাপতি বিকাশ ঘোষ বলেন, শাসক দলে আদেশ চ্যটার্জির ভালো প্রভাব ছিল, সেই প্রভাব খাটিয়ে সে এরকম দুর্নীতি চালিয়ে গেছে। এরকম বহু অভিযোগ রয়েছে তার নামে। তদন্ত হলেই সব প্রকাশ্যে আসবে। এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র এবিষয়ে বলেন, আদেশ চ্যাটার্জি এমন কোনও বড় নেতা নন যে তার খবর রাখতে হবে, যে যেখানে আন্যায় করছে তার ফল তাকেই ভোগ করতে হবে।