আমাদের ভারত, ২৪ আগস্ট: ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের ভোটার কার্ড একই ব্যক্তির নামে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার নিজের এক্স হান্ডেলে ওই ব্যক্তির দু’দেশের পরিচয় পত্রের ছবি পোস্ট করার পরই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিজেপি নেতা প্রশ্ন তুলেছেন, কিভাবে একজন মানুষের কাছে দুই’দেশের ভোটার কার্ড থাকতে পারে? একই সঙ্গে তিনি এস আই আরের পক্ষে আরো জোরদার সাওয়াল করেছেন।
বাংলাদেশি সরকারি জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী মহম্মদ আব্দুর রাজ্জাক আর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত কুমারগঞ্জ বিধানসভার ১০১ নম্বর বুথের ভোটার রাজ্জাক সরকার কি একই ব্যক্তি? এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় এস আই আর জরুরি বলে আবারো একবার সাওয়াল করেছেন। এর জন্য সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন।
জানা গেছে, দু’দেশের ভোটার কার্ডধারী ওই ব্যক্তির নাম রাজ্জাক সরকার, বয়স ৪৫ বছর। এই ব্যক্তি পেশায় কৃষক। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের সমাজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি। ভারতীয় ভূখণ্ডে তার বাড়ি হলেও কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে বিয়ে করেন। রাজ্জাকের বাবা আফতাব সরকার স্থানীয় সমাজিয়া পঞ্চায়েতে একাধিক বারের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ভারতের পরিচয়পত্রে তার নাম রয়েছে রাজ্জাক সরকার। অথচ বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় পরিচয় পত্রে তার নাম মহম্মদ আব্দুর রাজ্জাক হিসেবে নথিভুক্ত কিভাবে? একই ব্যক্তি কিভাবে দু’দেশের বৈধ পরিচয় পত্র পেতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ইতিমধ্যে কুমারগঞ্জ ব্লক প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। ওই ব্যক্তির পরিবারের লোক বলেছে বাংলাদেশের মেয়েকে বিয়ে করেছিল, কিন্তু সেখানে কিভাবে তার নাম উঠেছে তারা তা জানেন না।
ঘটনায় বিজেপির কুমারগঞ্জ মন্ডল সভাপতি কমল কুমার রায় বলেন, রাজ্জাক সরকারের দু’দেশেই নাম রয়েছে। এই কারণেই আমরা এস আই আর চাইছি। তাকে প্রমাণ দিতে হবে সে এই দেশের নাগরিক। কেবল রাজ্জাক নয়, এরকম এই এলাকায় একাধিক মানুষ রয়েছে, যাদের দু’ দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে।