নিজস্বীর বন্যায় ভাসল সঙ্গীত, হাসি, আড্ডা, আনন্দ ও সৌহার্দ্যের মেলবন্ধন

আমাদের ভারত, ২ নভেম্বর: মূল উদ্দেশ্য ছিল বিজয়া সম্মিলনী। আমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল “সঙ্গীত, হাসি, আড্ডা, আনন্দ ও সৌহার্দ্যের মেলবন্ধন”। শনিবার সন্ধ্যায় এর সঙ্গে জুড়ে গেল নিজস্বীর বন্যা। তথাকথিত স্থানীয় রাজনৈতিক সেলেবদের সঙ্গে ছবি তোলার এরকম সুযোগ তো সবার হয় না! প্রাণ খুলে ব্যবহৃত হলো মুঠোফোন। দরাজভাবে আগ্রহীদের আর্জি মেটালেন বিজেপি নেতা- নেত্রীরা।

প্রকাশ্যে অবশ্য আয়োজক দল ছিল না। ছিল ২০১১-তে সৃষ্ট অসরকারি সংগঠন ‘কালীঘাট বহুমুখী সেবা সমিতি’। যার সভাপতি বিজেপি-র রাজ্য শাখার প্রচারপ্রধান তুষারকান্তি ঘোষ। ওই সমাবেশে মঞ্চে ছোট্ট ভাষণে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এই যে এত আবেগ, এর পর আমি আর কী বলব? মানুষের এই উষ্ণতাই তো আমাদের সম্পদ।

দক্ষিণ কলকাতার ত্যাগরাজ হলে বসেছিল এই মিলন সমারোহ। নৃত্য, গীত, আবৃত্তি প্রভৃতি নানা ধরণের সাংস্কৃতিক আয়োজনের সঙ্গে ছিল প্রীতিভোজ। শমীকবাবু ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মীনাদেবী পুরোহিত, রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক ডঃ শংকর ঘোষ, পাঁচবারের বিধায়ক তাপস রায়, অভিনেতা তথা দলের সাংস্কৃতিক শাখার প্রধান রুদ্রনীল ঘোষ, দলের ‘মিডিয়া কো-ইনচার্জ’ কেয়া ঘোষ, কাউন্সিলর বিজয় ওঝা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। মঞ্চে সমিতির সভাপতি তুষারকান্তি ঘোষ ও অন্যান্যরা দেবীমূর্তির প্রতিরূপ ও উত্তরীয় দিয়ে তাঁদের সম্বর্ধনা জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *