লোকাল ট্রেন চালানোর গাইডলাইন ঠিক করতে সোমবার নবান্নে প্রশাসন-রেল আধিকারিকদের বৈঠক

রাজেন রায়, কলকাতা, ১ নভেম্বর: আনলক-৫ পর্বে অনেক কিছু খুলে গেলেও ট্রেন এখনও বন্ধ। ফলে ভিড় বাসে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঝুলে ঝুলেই গন্তব্যে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ২-৩ গুণ ভাড়া নিচ্ছে বাস-ট্যাক্সিও। স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে চড়তে চেয়ে বিভিন্ন স্টেশনে রেল অবরোধ করে মাঝেমধ্যেই হচ্ছে প্রবল যাত্রী বিক্ষোভ। সেই কারণে এবার যাত্রীদের অসুবিধার কথা ভাবনাচিন্তা করে সোমবার রেলকর্তাদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠকে বসতে চলেছেন রেলকর্তারা।

শনিবার রাজ্যের তরফে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল এবং বিকেলে লোকাল ট্রেন চালানো যেতে পারে। বিশেষ কোনও ‘মডেল’-এর মাধ্যমে লোকাল ট্রেনও চালু করা যেতে পারে। প্রতিদিন বিশেষ কয়েকজোড়া ট্রেন চালানোর আবেদন নিয়ে রেলকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। যদিও দৈনিক যাত্রী সংখ্যার হিসেবে কষে রেল কর্তাদের মতে, ট্রেন চালু হলেই যাত্রীদের ভিড় আছড়ে পড়বে। তাই ট্রেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হলে বেশি সংখ্যক ট্রেন চালানো আবশ্যক। সোমবার নবান্নে এসবই তাঁরা বিস্তারিত জানাবেন বলে সূত্রের খবর।

হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান জানিয়েছেন, স্টেশনগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিশ। কোথায়, কত সংখ্যক ট্রেন, কীভাবে চলবে, যাত্রীরা কার্ড না কিউআর কোড, নাকি টিকিট কেটে ট্রেনে চড়বেন, তা রাজ্য ঠিক করবে। বৈঠকে সেই বিষয়গুলিই চূড়ান্ত করা হবে। হাওড়া, শিয়ালদহের মতো বড় স্টেশনগুলি বাদে দুই ডিভিশনে যে অজস্র স্টেশন রয়েছে, তাতে যাত্রী ভিড় নিয়ন্ত্রণের আগাম পরিকাঠামো তৈরি করে রেখেছে রেল। স্টেশনের দুই প্রান্ত টিন দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে, যাতে যে কোনও জায়গা দিয়ে যাত্রীরা ঢুকে পড়তে না পারে। তবে কম ট্রেন চলাচল করলে যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে না। তাই বেশি সংখ্যায় ট্রেন চালানোর পক্ষেই মত রেলকর্তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *