আমাদের ভারত, ২০ ফেব্রুয়ারি:
শ্রদ্ধা, নিকি যাদবের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিহরিত দেশবাসী। তারই মধ্যে আরো এক নারী নির্যাতন ও জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের চাপ দেওয়ার ঘটনা উঠে এলো সংবাদ শিরোনামে। দেশের রাজধানীতে এই নৃশংস ঘটনায় বাবা এবং ছেলেকে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এক ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণ ও জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের চাপ দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ২৩ বছরের ওই ডাক্তারি পড়ুয়া তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, অভিযুক্ত ছেলে একজন ব্যাঙ্ক কর্মচারী।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা তরুণী জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা তাকে ধর্ষণ করে সেই অত্যাচারের ভিডিও তুলে রেখেছে। তরুণীর অভিযোগ সেই ভিডিও দেখিয়ে তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য জোর করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই ব্যাংক কর্মচারীর নাম আখলাক শেখ বয়স ৩২ বছর। তার ৫২ বছরের পিতাকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
২৩ বছরের ঐ তরুণী গ্রেটার নয়ডার একটি বেসরকারি কলেজে ডাক্তারি পড়ছিলেন। ২০২১ সালের ফেসবুকে অভিযুক্ত আখলাকের সঙ্গে তরুণীর পরিচয় হয়। সেই সময়ে তরুণী কোটার একটি কোচিং সেন্টারে মেডিকেলের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ফেসবুক থেকে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের আদান-প্রদান হয় উভয়ের মধ্যে। চার মাস তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। এরপর ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে তাদের দেখা হয়। অভিযুক্ত যুবক তখন তরুণীকে অলক শর্মা নামে পরিচয় দেয়। ধীরে ধীরে তাদের বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। ওই যুবক তরুণীকে নিজের এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই তাদের সম্পর্ক আরো বেশ খানিক এগোয়। সেই সময় তরুণী জানতে পারে যুবক আসলে মুসলিম। পুলিশকে তরুণী জানায় যদি অলক ওরফে আকলাখের আসল নাম তিনি আগে থেকে জানতেন তাহলে তার সঙ্গে তিনি কথাই বলতেন না।
এরপর তরুণী জানতে পারেন আখলাখ বিবাহিত। আর তখনই সে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। এরপর ২৬ শে জানুয়ারি আখলাখ তার বাবাকে নিয়ে তরুণীর কলেজে হানা দেয়, সেখানে দুজনে মিলে তাকে শারীরিক নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ।