পিন্টু কুন্ডু, আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২৪ নভেম্বর: পেট্রোল পাম্পে মজুত রাখা প্রায় দেড় কোটি টাকার নিষিদ্ধ কফ সিরাপ উদ্ধার ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য গঙ্গারামপুরে। শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের একটি বিশেষ টিম হানা দেয় গঙ্গারামপুরের নীলডাঙ্গা এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পে। যেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার নিষিদ্ধ কফ সিরাপ। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বলে অনুমান পুলিশের। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে ৬ জনকে।
জানা গেছে, গঙ্গারামপুর থানার নীলডাঙ্গা এলাকায় ওই পেট্রোল পাম্পে একটি লরি বোঝাই করে রাখা ছিল বিপুল পরিমাণ ওই নিষিদ্ধ কফ সিরাপগুলি। মালদা থেকে একটি ট্রাকে করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পাচার করবার জন্য নিয়ে আসছিল পাচারকারীরা। যার গোপন খবর পেয়ে বিশেষ অভিযান চালায় এসটিএফের একটি বিশেষ টিম। যারা ওই গাড়িটির সন্ধান করতে করতে অবশেষে গঙ্গারামপুরের ওই পেট্রোল পাম্প থেকে ট্রাক বোঝাই বিপুল নিষিদ্ধ কফ সিরাপ আটক করে।

ঘটনার কথা জানতে পেরে এলাকায় ছুটে যায় গঙ্গারামপুর থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। এরপরেই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় প্রায় ৩২ হাজার বোতল নিষিদ্ধ কফ সিরাপ। যার আনুমানিক বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে দাবি পুলিশের। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এলাকা থেকে ছয় জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এসটিএফ। তদন্তে এই নিষিদ্ধ কফ সিরাপ পাচার নিয়ে একাধিক গোপন তথ্য উঠে এসেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে। প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে, গঙ্গারামপুর, কুমারগঞ্জ ও হিলিকে কাজে লাগিয়েই চলছিল নিষিদ্ধ কফ সিরাপের রমরমা কারবার। আর যে চক্রে জড়িত রয়েছে শাসক ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতারা। যাদের নাম সামনে এনেই এই ঘটনা খোলসা করতে চলেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের ওই বিশেষ টিমটি বলে সুত্রের খবর। তবে এত বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কফ সিরাপ বোঝাই ট্রাকটি ওই পেট্রোল পাম্পেই কেন লুকিয়ে রাখা হয়েছিল তা নিয়েও জোর তদন্ত শুরু করেছে
এসটিএফ।
যদিও কিভাবে ওই ট্রাকটি সেখানে এল তা নিয়ে সঠিক উত্তর দিতে পারেননি পাম্প মালিক দিলীপ সরকার। তার দাবি, এসব নিয়ে সতর্ক হয়ে পাম্পে নজরদারি বাড়াতে হবে। যদিও এব্যাপারে এসটিএফ ও পুলিশের তরফে তেমন কিছু বলতে চাওয়া হয়নি।

