আশিস মণ্ডল, বীরভূম, ১৯ আনুয়ারি: এবার দিদির দূত সাংসদ শতাব্দী রায়ের কাছে স্বামীকে খুঁজে দেওয়ার আবদার করলেন এক গৃহবধূ। অসহায় ওই গৃহবধূর আবদার শুনে থমকে যান সাংসদ। তিনি গৃহবধূকে পুলিশের কাছে যাওয়ার আবেদন জানান।
বৃহস্পতিবার দিদির দূত হয়ে নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের পাইকপাড়া গ্রামে পঞ্চায়েত এলাকায় যান বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। গ্রাম ঘুরে শতাব্দী রায় পৌঁছে যান নলহাটির আশ্রমপাড়া বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠে। সেখানে এক গৃহবধূ পানীয় জলের দাবি করেন। পাইকপাড়া গ্রামের কামারপাড়ার বাসিন্দা গৃহবধূ দীপ্তি মণ্ডল সাংসদকে হাতের কাছে পেয়ে তাঁর স্বামীকে খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানান। ওই গৃহবধূর স্বামী শ্রীকান্ত মণ্ডল বছর দুয়েক আগে নিখোঁজ হয়ে যান। তারপর থেকে এক ছেলেকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতেই রয়েছেন গৃহবধূ। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির জমির ফসল ঠিক মতো না মেলায় চরম অভাবে দিন কাটছে ওই গৃহবধূর। তিনি সাংসদ শতাব্দীকে বলেন, “বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়িতেই রয়েছি। স্বামী একটি হোটেলে কাজ করত। আগে মাঝে মধ্যেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যেত। আবার ফিরে আসত। ওর স্বভাব চরিত্র ভালো নয়। তবুও বেঁচে থাকার জন্য স্বামীকে খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে”।
শতাব্দী বলেন, “ওকে খুঁজে দিলে আবার তো পালিয়ে যাবে। তাছাড়া নিজেই বলছেন চরিত্র ভালো নয়। তাহলে ওই স্বামীর সঙ্গে ঘর করবেন কিভাবে? এরপরও গৃহবধূর কাতর আবেদনে তৃণমূলের রামপুরহাট শহর সভাপতি পিন্টু সিংহকে দায়িত্ব দেন শতাব্দী। অনুরোধ করেন ওই মহিলাকে নিয়ে থানার বড়বাবুর সঙ্গে কথা বলে স্বামীকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করার।
শতাব্দী বলেন, “ওই গৃহবধূ স্বামীকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন। তা না হলে চরিত্রহীন স্বামীকে নিয়ে কিভাবে সংসার করবেন? আমি পিন্টু সিংহকে বলেছি ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করে মোবাইল ট্র্যাক করে স্বামীকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে।“