সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১১ আগস্ট: এক ঝাঁক বিজেপির প্রাক্তন কার্যকর্তাকে দলে যোগদান করিয়ে পদ্ম শিবিরের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল তৃণমূল। বাঘমুন্ডিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির ওই প্রাক্তন পদাধিকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন জেলা সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূলের আহ্বায়ক সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু। এদিন কয়েকশ বিজেপি সমর্থিত পরিবারও ওই মঞ্চে তৃণমূলে যোগ দেয়।
এদিন ১১ জন প্রাক্তন কার্যকর্তা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। দলত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন, বাগমুন্ডি মন্ডলের প্রাক্তন সভাপতি রামেশ্বর মাহাতো, ওই মন্ডলের সহ-সভাপতি মেঘনাথ মাহাতো, নির্মল কুমার এবং আরও এক প্রাক্তন সভাপতি জগন্নাথ সিং দেও, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অনাদি প্রসাদ সিং দেও, প্রাক্তন সম্পাদক অজয় কুমার, বাগমুন্ডি যুব মোর্চার প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি অর্জুন গড়াই, মহিলা মোর্চা প্রাক্তন সভানেত্রী অঞ্জনা সিং সর্দার এবং ওই মণ্ডলের যুব মোর্চার প্রাক্তন সহ-সভাপতি অশোক কুমার, শক্তি কেন্দ্র প্রমুখ প্রহ্লাদ কুমার এবং কিষান মোর্চার মন্ডল সভাপতি গিরিধারী মাজি।
দলত্যাগীরা এদিন জানান, কোভিড পরিস্থিতিতে এলাকায় বিজেপিকে সেই ভাবে বাসিন্দারা কাছে পাননি। এছাড়া জনকল্যাণকর কাজ এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সামগ্রিক ভাবে করে চলেছে। তাই তাঁরা দল বদল করে তৃণমূলের যোগ দিলেন।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, ‘যাঁরা আজ তৃণমূলে যোগ দিলেন তাঁরা সক্রিয় ভাবে বিজেপিতে ছিলেন না। এছাড়া নিঃস্বার্থভাবে দল করতে হলে বিজেপিতে থাকতেন। তা ছাড়া এঁরা দলের নীতি আদর্শ বিসর্জন দেওয়ায় তাঁদের পদ থেকে আগেই সরানো হয়ে ছিল। আস্তাকুড়ে নোংরা আবর্জনায় তো যাবে।’
তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে জেলার মুখপাত্র নবেন্দু মহালি বলেন, ‘বিজেপির মোহ ভঙ্গ হচ্ছে কার্যকর্তাদের। এছাড়া মানুষ দেখছে যে এই মহামারী পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন যেন কোনও মানুষ অসুবিধায় না পড়ে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষ জন যে আর্থিক ভাবেও লাভবান হচ্ছেন তা চাক্ষুষ করছে বিজেপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তাই, তৃণমূলের বিকল্প কোনও দল নেই। ‘