মাঝরাতে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন, চাঞ্চল্য ডেবরার রঘুনাথপুর এলাকায়

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ জুলাই: ভোট পরবর্তী হিংসার আবহেই এবার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ৬ নম্বর জলিমন্দা অঞ্চলের রঘুনাথপুর এলাকায়।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হঠাৎই দলীয় কার্যালয়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কার্যালয়টি জনবসতি পূর্ণ এলাকায় অবস্থিত। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় পাশে থাকা কয়েকটি দোকান এবং বসত বাড়ি। ঘটনা ঘিরে গতকাল রাত থেকেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।

স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের অনুমান, এই আগুন লাগার ঘটনায় স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীর হাত রয়েছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে ডেবরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, ভেতরে থাকা বহু সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে ডেবরা থানার পুলিশ।

এদিকে, ভোটের ফলাফল ঘোষণার কয়েকদিনের মধ্যেই ডেবরায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, ডেবরা ব্লকের পাঁচটি অঞ্চল ত্রিশঙ্কু অবস্থায় আছে। এবারের নির্বাচনে, তৃণমূলের বিপুল সাফল্যের মাঝেও হেরে গিয়েছেন ডেবরা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি বিবেকানন্দ মুখার্জি। হেরেছেন ২০১১ সালের ডেবরা ব্লকের সভাপতি তথা বর্তমান বিজেপি নেতা রতন দে মন্ডলের কাছে।

অন্যদিকে, দলে টিকিট না পাওয়ায় রাধামোহনপুর থেকে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি অলোক আচার্য। তিনিও হেরেছেন ওই অঞ্চলে। হেরেছেন ব্লকের সহ সভাপতি অনুপম দাস। অপরদিকে, ডেবরাতে টিকিট না পাওয়ায় নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন জেলা পরিষদের বিদায়ী খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কণিকা মান্ডি। তিনিও হেরে গিয়েছেন। দলের টিকিট না পাওয়ায় নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি মৌসুমী মুড়া। হেরেছেন তিনিও। ফলে, এই আগুন লাগার সঙ্গে শাসক দলের কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা রাজনৈতিক যোগ আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *