পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ মার্চ: পঠনপাঠনের শৃঙ্খলা ও মেধার উৎকর্ষের জন্য মেদিনীপুর কলেজ (স্বশাসিত) এর খ্যাতি সর্বজনবিদিত। এর পাশাপাশি সংস্কৃতি ও কৃষ্টির জগতেও এই কলেজের ছাত্রছাত্রীদের বিচরণ যে অবাধ তাও অবিভিক্ত মেদিনীপুর তথা বাংলার মানুষ জানেন। বর্তমান সময়ের পড়াশোনোর ক্রমবর্ধমান চাপে সেই সৃজনশীলতা যাতে হারিয়ে না যায় তার জন্য আজ কলেজের নবনির্মিত ইন্ডোর হলে অনুষ্ঠিত হল এক অভিনব ক্যাম্পাস বাজার।
নিজেদের হাতের কাজ নিয়ে পসরা সাজিয়েছিল ছাত্রছাত্রীরা। সর্বমোট আঠাশটি স্টলে সাজানো ছিল তাদের হাতে তৈরি ঘর সাজানোর জিনিস, গয়না, উপহার দেওয়ার সামগ্রী ইত্যাদি। ছিল তাদের আঁকা ছবি। নিউট্রিশন বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের আয়োজনে ছিল রকমারি খাবার। তরমুজের ঘন রসই হোক কি ওটসের পিৎজা, স্বাদু ও পুষ্টিকর খাবারের স্বাদ নিতে পিছপা হননি কেউই। বিক্রিবাটাও মন্দ হয়নি। নিজেদের আঁকা ছবি বিক্রি হতে দেখে আপ্লুত ছিল সাহানা, দেবস্মিতারা। আগ্রহী শিক্ষকরা প্রিয় ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিতে এসে বিস্মিত হন হাতের কাজের গুণগতমান দেখে। তাই পৃষ্ঠপোষকতার জন্যেই নয়, সানন্দেই তারা কিনলেন ছেলেমেয়েদের সৃষ্ট নানা সামগ্রী।
অধ্যাপক দুলাল দে জানান, যে একাধিক রিসাইকেল্ড সামগ্রীকে ছাত্রছাত্রীরা তাদের সৃষ্টিতে ব্যবহার করেছে। এই আয়োজনের সাফল্য দেখে খুশি কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ গোপাল চন্দ্র বেরা। উৎসাহের সঙ্গে সব স্টল ঘুরতে ঘুরতে কিনেও ফেললেন একাধিক পছন্দসই জিনিস। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের অধ্যক্ষের কাছে আবদার এমন আয়োজন নিয়মিত করার। উদ্যোগে সাড়া পেয়ে আপ্লুত ডঃ বেরা জানান, আবার এমন বাজার বসানো যেতেই পারে। প্রাত্যহিকতার ক্লান্তির মাঝে আজ কলেজে দিনটি ছিল অন্যরকম। ক্লাসের ফাঁকে ও পড়া শেষে বাজার মুখরিত করে রাখা ছেলেমেয়েদের স্মৃতিতে ধরা থাকল এমন ব্যাতিক্রমী আনন্দ আয়োজনের উজ্জ্বল ছবি।