আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ২৮ আগস্ট: এবার সিবিআইয়ের দল পৌঁছে গেল বীরভূমে। শনিবার দুপুরে তারা পৌঁছে যান কাঁকড়তলা থানার নবসন গ্রামে। সেখানে নিহত বিজেপির বুথ সহ সভাপতি মিঠুন বাগদির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গেও। দিনভর তথ্য সংগ্রহ করেন তারা। তবে এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চাননি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বীরভূমের কাঁকড়তলা থানার নবসন গ্রামে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় রাজু বাগদি (৩২) নামে এক যুবকের। সেই সময় ওই যুবককে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে পরিবার। ওই ঘটনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার করা হয় প্রতিবেশী মিঠুন বাগদি নামে বিজেপির বুথ সহ সভাপতিকে। তিনমাস জেল হেফাজতে থাকার পর মে মাসের শেষের দিকে জামিনে মুক্তি পায় মিঠুন। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে থাকতে শুরু করেন একই থানার বড়রা গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে।
মিঠুনের পরিবারের দাবি, চলতি বছরের ১৩ জুন বিকেলের দিকে গ্রামের বাড়িতে রাখা মোটরবাইক আনতে যায় মিঠুন। সেই সময় মৃত রাজুর পরিবার এবং তৃণমূলের লোকজন তাকে ধরে একটি খুঁটিতে বাঁধে। এরপর বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করে। তাকে ধারালো বঁটি দিয়েও কোপানো হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাঁকড়তলা থানার পুলিশ রক্তাক্ত মিঠুনকে উদ্ধার করে খয়রাশোল ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পুলিশ রাজু বাগদির স্ত্রী লক্ষ্মী বাগদি ছাড়াও গ্রেফতার করে তার নিকট আত্মীয় অনিল বাগদি, প্রতিমা বাগদি, কল্পনা বাগদি ও সুন্দরী বাগদিকে।
বিজেপি অভিযোগ করে তাদের কর্মীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। সেই খুনের তদন্তে এদিন গ্রামে যান সিবিআইয়ের দল। তবে তারা কিছু বলতে চাননি।
মিঠুন বাগদির নিকট আত্মীয় নীলিমা বাগদি বলেন, “আমরা সিবিআইয়ের কাছে সত্য ঘটনা বলেছি। তৃণমূলের লোকজন এবং রাজুর পরিবার মিঠুনকে খুন করেছে। আমরা খুনের বিচার চাই”।