Rail roko, Kurmi Samaj, অনির্দিষ্টকালের রেল রোকো ও জাতীয় সড়ক অবরোধের ডাক, অজিত মাহাতোর নেতৃত্বাধীন ‘আদিবাসী কুড়মি সমাজ’- এর

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ সেপ্টেম্বর: মহালয়ার ঠিক আগের দিন, ২০ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের রেল রোকো ও জাতীয় সড়ক অবরোধ (রেল টেকা এবং ডহর ছেঁকা)-এর ডাক দিয়েছে অজিত মাহাতোর নেতৃত্বাধীন ‘আদিবাসী কুড়মি সমাজ’। হাইকোর্টের নির্দেশকে ঢাল করে এই ‘অবরোধ’ রুখতে বিস্তর প্রস্তুতি নিয়েছিল প্রশাসন। কোনওভাবেই এই রেল রোকো বা রেল অবরোধ বরদাস্ত করা হবে না, জানানো হয়েছিল রেল এবং পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে। কিন্তু তার পরেও কমানো গেল না ভোগান্তি। শনিবার বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁঝ বাড়ল কুড়মিদের আন্দোলনের।

তার পরেই আরও দীর্ঘ হয় ট্রেন বাতিলের তালিকা। দক্ষিণ-পূর্ব রেল এবং পূর্ব-মধ্য রেলের তরফে জানানো হয়, একাধিক ট্রেন এদিন বাতিল করা হয়েছে।

শনিবার সকাল থেকে খড়্গপুর এবং লাগোয়া স্টেশনগুলিতে কুড়মি আন্দোলনের প্রভাব সেই ভাবে পড়েনি। কিন্তু বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বদলায় পরিস্থিতি। কুড়মিদের রেল এবং রাস্তা অবরোধ কর্মসূচির জেরে আংশিক প্রভাবিত দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পরিষেবা, সূত্রের খবর এমনটাই। এদিন ভোর ৫টা ২ মিনিট থেকে ৫টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত খড়্গপুর ডিভিশনের ওড়িশার ভাঞ্জপুর স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান কুড়মি আন্দোলনকারীদের একাংশ। এ ছাড়াও চক্রধরপুর ডিভিশনের সিনি-বীরবান অংশেও বিক্ষোভ অব্যাহত। এর ফলে কিছু ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এবং বাতিল করা হয়েছে কয়েকটি ট্রেন। এর ফলে শনিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণের খেমাশুলি স্টেশনের আশপাশে দেখা যায়নি কোনও আন্দোলনকারীকে। জেলার যে সব স্টেশনে এই অবরোধের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা ছিল, সেখানেও একই ছবি বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, এদিন সড়ক পরিষেবায় সে ভাবে প্রভাব পড়েনি কুড়মি আন্দোলনের। শালবনি, চন্দ্রকোনা রোড-সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাকি অংশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) পিনাকী দত্ত।

রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের এক জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডের রাখামাইন ও গালুডির মাঝে এলসি গেটে অবরোধ চলছে। হাওড়া থেকে রাঁচি যাওয়ার পথে চাকুলিয়া স্টেশনে নিয়ন্ত্রিত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। একটি দুরন্ত এক্সপ্রেসকে থামানো হয়েছে ঘাটশিলা স্টেশনে এবং ইস্পাত এক্সপ্রেসকে থামানো হয়েছে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে। যদিও পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয় যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার ডি কুমার দাবি করেছেন, ‘অন্যান্য দিনের মতোই পরিষেবা স্বাভাবিক। সকালে টাটানগর-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস চলেছে। সকাল সাড়ে ন’টা পর্যন্ত প্রায় সমস্ত ট্রেন স্বাভাবিক যাতায়াত করেছে। তার পরে সামান্য সমস্যা দেখা গিয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *