সুবিধামতো কাজের সময়, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের মতো একগুচ্ছ নয়া ভাবনা শ্রম আইনে যুক্ত হোক, পরামর্শ মোদীর

আমাদের ভারত, ২৬ আগস্ট:
শ্রমশক্তিই দেশের উন্নয়নের অন্যতম চাবিকাঠি। তাই দেশের শ্রমশক্তির সুবিধার জন্য কর্মক্ষেত্রে একাধিক পরিবর্তন আনার পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে উন্নত ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন কর্মক্ষেত্রে সময়সীমার পরিবর্তন, দেওয়া হোক ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা। মোদীর মতে, ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে জোর করে কর্মীদের কাজ করালে কর্মদক্ষতায় বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

শ্রম মন্ত্রকের তরফে আয়োজিত জাতীয় কনফারেন্সে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সমস্ত রাজ্যের মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘অমৃত কালে’ দাঁড়িয়ে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করার পেছনে দেশের শ্রমশক্তির বড় অবদান রয়েছে। দেশের সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রে যে কোটি কোটি কর্মচারীর রয়েছে তারা ভারতের স্বপ্ন পূরণে অবদান রেখেছে।

দেশের শ্রমিকশ্রেণিকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে তরফের প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনার মতো একাধিক প্রকল্প রয়েছে। এই যোজনাগুলির মাধ্যমে দেশের শ্রমশক্তির কঠোর পরিশ্রম ও অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে মনে করান প্রধানমন্ত্রী।

একটি রিপোর্ট তুলে ধরে মোদী বলেন, একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে এমারজেন্সি ক্রেডিট গ্যারান্টি স্ক্রিন করোনাকালে দেড় কোটি কাজকে সুরক্ষিত করেছে। বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে প্রয়োজনের সময় কীভাবে তা শ্রমশক্তিকে সাহায্য করছে। একইভাবে করোনা মহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে শ্রমিক কর্মীরা নিজেদের পূর্ণ কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েছেন। বর্তমানে ভারতের অর্থনীতি ফের দ্রুতগতিতে এগোতে শুরু করেছে, তার কৃতিত্ব দেশের শ্রমশক্তির বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

মোদী জানান, কেন্দ্র কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা দিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এক বছরের মধ্যে দেশের ৪০০টি প্রান্ত থেকে ২৮ কোটি শ্রমিক পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছেন। এই পোর্টালের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিক, নির্মাণ কর্মী, ঠিকা কর্মী ও বাড়িতে কর্মরত মহিলা উপকৃত হয়েছেন। রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের এই পোর্টালে সংযুক্তিকরণের পক্ষে সাওয়াল করেছেন মোদী।

শ্রম আইনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলতে গিয়ে মোদী বলেন, শ্রম আইনকে আরও সহজ সরল করে, শ্রমিক কর্মীদের আয় বাড়িয়ে, কাজের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষার মত সুবিধাগুলিকে নিশ্চিত করাই লক্ষ্য হবে।

মহিলা কর্মীদের সুবিধার ওপর বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। মহিলাদের সুবিধামতো কাজের সময়, কর্মস্থল বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া এবং ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দেওয়া হোক। তাহলে দেশের শ্রমক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনই বহু মহিলার কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *