পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ ফেব্রুয়ারি: মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরে অবস্থিত গোলকপতি ভবনের সভাকক্ষে প্রকাশিত হলো তরুণ শিক্ষকদ্বয় চিত্ততোষ পৈড়া ও অর্জুন কুমার দাস সম্পাদিত পুস্তক ‘গল্পকথা: একালের পর্যালোচনা’ শীর্ষক পুস্তকের দুটি খন্ড। সম্মিলিত অতিথিদের উপস্থিতিতে গ্রন্থ দুটির মোড়ক উন্মোচন করেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রাক্তন অধ্যাপক ড: লায়েক আলি খান।

উল্লেখ্য, গ্রন্থটির দুটি খন্ডের ভূমিকা তিনিই লিখেছেন। অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানান অন্যতম সম্পাদক চিত্ততোষ পৈড়া। প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন আরেক সম্পাদক অর্জুন দাস। এদিনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ড: অনিতা সাহা, মেদিনীপুর কলেজের দুই অধ্যাপক ড: ফটিকচাঁদ ঘোষ ও ড: অমর কুমার সাহা, অমিত্রাক্ষর পাবলিকেশনের কর্ণধার অমিত অধিকারী, চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের শিক্ষক, সমাজ কর্মী সুদীপ কুমার খাঁড়া, কিয়ামাচা হাইস্কুলের শিক্ষক শ্যামল ঘোষ, হিজলী কলেজের অধ্যাপক ড: স্বরূপ দে ও পার্থসারথি পাত্র, শিক্ষক ড: নরেন হালদার, মাণিকপাড়া বিবেকানন্দ শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রসেনজিৎ মন্ডল, শিক্ষক অতনু ঘোষ, সুদীপ্তা মাহাত, ভবেশ মাহাত, সমর বড়দোলাই সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সবমিলিয়ে বহু গুণিজনের উপস্থিতিতে সন্ধ্যাকালীন চাঁদের হাটে প্রকাশিত হলো গ্রন্থটির দুটি খন্ড।
গ্রন্থটির দুটি খণ্ডে ওপার বাংলা ও এপার বাংলার মোট ১২৩টি গল্প ৮৩ জন লেখকের দ্বারা আলোচিত হয়েছে। গ্রন্থটির প্রুফ সংশোধনের মতো নিখুঁত ও সূক্ষ্ম কাজ দায়িত্বের সাথে সম্পন্ন করেছেন অতনু ঘোষ। দুই সম্পাদক ও সহযোগীদের প্রায় চার বছরের একাগ্রতা, নিষ্ঠা, অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টার ফলে প্রকাশিত হলো সহস্রাধিক পাতায় এই বইটির দুটি খন্ড। উপস্থিত উদ্বোধক ও অন্যান্য অতিথিরা বইটির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বইটির সাফল্য কামনা করেন এবং সম্পাদকদ্বয়ের প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানান।

বইটির সম্পাদকদ্বয় চিত্ততোষ পৈড়া এবং অর্জুন দাস জানান, তাঁরা আশাবাদী গ্রন্থটি পাঠকের হাতে হাতে পৌঁছোলে গ্রন্থটির প্রাণ প্রতিষ্ঠা পাবে এবং পাঠক মহলে জনপ্রিয় হবে। পাশাপাশি গবেষক ও পড়ুয়াদের এই বইটি বিশেষ ভাবে সহযোগিতা করবে।

