জগদ্দলে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ড্রেনের ধারে ফেলে দেওয়া বিজেপি কর্মীর মৃত্যু

আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৮ অক্টোবর:এক বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মৃত ওই বিজেপি কর্মীর নাম মিলন হালদার (৪০)। মহাষ্টমীর রাতে ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হয় মিলন। বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে খুন বলে দাবি করা হলেও মিলনের মৃত্যুর পর কলকাতার আরজিকর হাসপাতাল সূত্রের খবর, মিলন হালদারের মৃত্যুর কারণ কোভিড। তবে তা মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির অভিযোগ, মিলনকে শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা যেভাবে মারধর করেছিল, তার জেরেই পরে তার মৃত্যু হয়।

জগদ্দল গ্রামীণ মণ্ডলের সভাপতি রঞ্জিত দত্তের অভিযোগ, “শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মিলনকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে কাউগাছি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৬ নম্বর বুথ এলাকায় নর্দমার ধারে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে মিলনের পরিবারের সদস্যরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ব্যারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ও পরে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই বুধবার ভোর রাতে মিলনের মৃত্যু হয়। জগদ্দল থানায় এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।”
তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়েছে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন যোগ নেই। তৃণমূল হিংসার রাজনীতি করে না।

এদিকে মৃত মিলন হালদার কোভিড আক্রান্ত ছিল বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। কলকাতার আরজিকর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত ওই বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ বুধবার তার পরিবারকে দেয়নি।

এদিকে এই ঘটনার পর মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। তিনি বলেন, “মিথ্যা করোনা রিপোর্ট তৈরি করে বিজেপি কর্মীদের খুনের ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মিলন হালদারের দেহ এখনো তার পরিবারের সদস্যদের হাতে দেওয়া হল না। এভাবে কি গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় ?”

মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা এই ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হবে। মৃত মিলনের কোভিড ছিল না বলে দাবি মৃতের পরিবারের সদস্যদের। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে মিলন হালদারের মৃত্যুর ঘটনায় তারা লাগাতার আন্দোলন শুরু করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *