Mahakumbho, । । ৫। । সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য ৩০০ পাতার আচরণবিধি প্রকাশ মহাকুম্ভে

*মহাকুম্ভ- ২০২৫*

অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ২৫ জানুয়ারি:
মহাকুম্ভের শুভ তিথিতে হিন্দুদের জন্য প্রকাশ হচ্ছে আচরণবিধি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য ৩০০ পাতার একটি আচরণবিধি প্রকাশ করল কাশী বিদ্বত পরিষদ। বারাণসীতে বৈদিক শিক্ষা সংরক্ষণের কাজ করে থাকে এই হিন্দু সংগঠন। ইতিমধ্যে তাদের প্রকাশিত ‘আচরণবিধি’ ঘিরে বিস্তর নড়াচড়া পড়েছে দেশজুড়ে।

আচরণবিধি প্রকাশ করেই থেমে থাকছেন না সেই হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা। মহাকুম্ভের মেলাতে সেই ৩০০ পাতার আচরণবিধির একাধিক সংস্করণ বিলিও করেন তাঁরা।

অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির সাধারণ সভাপতি জিতেন্দ্রনন্দ সরস্বতী জানিয়েছেন, গোটা দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সাধু-সন্ত ও বৈদিক জ্ঞানের পণ্ডিতদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই এই আচরণবিধি তৈরি করা হয়েছে।

শনিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পৃষ্ঠপোষকতায় মহাকুম্ভে আয়োজন হচ্ছে একটি বৈঠক সভার। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা বিশিষ্ট সাধু-সন্ত ও শঙ্করাচার্যদের। সেখানে পেশ করা হবে এই হিন্দু আচরণবিধি। এরপর সেই বৈঠকে মান্যতা পেলে আচরণবিধির একাধিক সংস্করণ তৈরি করে মেলাজুড়ে চলবে বিলি।

জানা গিয়েছে, দেশের সকল সাধু-সন্তদের জ্ঞান ও জীবন নির্বাহি পদ্ধতির কথা উল্লেখ রয়েছে এই আচরণবিধিতে। শুধু তা-ই নয়, হিন্দুদের বিয়ে করার সময়টাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে এই আচরণবিধিতে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য প্রকাশিত আচরণবিধিতে উল্লেখ রয়েছে যে রাত নয়, বরং সূর্যাস্তের আগেই বিয়ের সকল রীতিনীতি সেরে ফেলা উচিত হিন্দুদের।

পাশাপাশি ভ্রূণ হত্যাকে ‘পাপ’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে এই আচরণবিধিতে। আবার, মহিলাদের যজ্ঞ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এই বিধিতে। বলা হয়েছে, সকল ক্ষেত্রে মহিলারা পুরুষদের সমান, তাই তারাও চাইলে যজ্ঞ করতে পারবেন। এছাড়া, বর্ণ বৈষম্যতাকে বৈদিক ঐতিহ্য বিরোধী বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে এই আচরণবিধিতে। (সূত্র টিভি৯)

ফেসবুকে ‘দেশে বিদেশে’ গ্রুপের পোষ্ট— অবশেষে ভারাক্রান্ত মনে কুম্ভ মেলাকে বিদায় জানিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম। যে স্মৃতি সঙ্গে নিয়ে এলাম তা সারা জীবন ভুলবার নয়। ওই কটা দিন যেন স্বপ্নের ঘোরে পেরিয়ে গেল। ওখানের এত সুনিপুণ ব্যবস্থাপনা আমরা কল্পনাই করতে পারি না। পরবর্তীতে যারা যেতে চান তাদের জন্য কিছু টিপস । কুম্ভ মেলায় যাবার জন্য তিনটা স্টেশন আছে। রামবাগ সবচেয়ে কাছের স্টেশন দূরত্ব মোটামুটি কম বেশি ৪ কিলোমিটার। বাকিগুলো ১০-১২ কিলোমিটার। ত্রিবেণী সঙ্গম হল তিন নম্বর সেক্টরে। মোট চব্বিশটা সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে পুরো জায়গাটাকে। ৪০,০০০ হেক্টর জায়গা নিয়ে এবারের কুম্ভ মেলা আয়োজিত হচ্ছে। যমুনা নদীর উপর ত্রিশটা ভাসমান অস্থায়ী সেতু নির্মিত হয়েছে। সড়ক পথে সাতটা পয়েন্ট দিয়ে কুম্ভ মেলায় প্রবেশ করা যায়। প্রবেশ করার আগেই গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যাবস্থা আছে। আকাশপথে এবং জলে সব সময় ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী এবং অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীরা সবসময় সজাগ এবং সতর্ক হয়ে আছে। যারা মনে মনে যাবার ইচ্ছা পোষণ করছেন, তাদেরকে বলব লোটা কম্বল নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন এমন জিনিস ভূ- ভারতে আর কোনদিন দেখতে পাবেন না।
🙏🙏 হর হর মহাদেব 🙏🙏

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *