আমাদের ভারত, হাওড়া, ২৫ আগস্ট: রাতে বাবা-মায়ের পাশে শুয়ে থাকা ১৫ দিনের শিশু কন্যা উধাও হয়ে গেল বাড়ি থেকে। পরে তারর নিথর দেহ মিলল ৫০ ফুট দূরে পুকুরে। মঙ্গলবার সকালের এই অবাক করা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো শ্যামপুরের মরশাল গ্রামের তেঁতুলতলায়। মৃত শিশুর নাম আরাধ্যা মাঝি। শ্যামপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পাঠিয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে পুলিশ মৃত শিশু পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
জানা গেছে, শ্যামপুরের বাসিন্দা বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র সায়ক মাঝি কলকাতায় পড়াশোনা করার সময় ফেসবুকে পরিচয় হয় শিলিগুড়ির বাসিন্দা সোনিয়ার সাথে। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং বছর দেড়েক আগে শায়ক সোনিয়াকে বিয়ে করে এবং কলকাতাতেই থাকতে শুরু করে। যদিও লকডাউন এর সময় সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে সায়ক। জানা গেছে দিন ১৫ আগে তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়।

পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার রাতে সায়ক ও সোনিয়া তাদের কন্যাকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। ভোর তিনটে নাগাদ সোনিয়ার ঘুম ভেঙে গেলে দেখতে পায় বিছানায় আরাধ্যা নেই। এরপরই চিৎকার করতে থাকলে পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসে। প্রতিবেশীরাও ছুটে আসে। সবাই মিলে ছোট্ট আরাধ্যাকে খুঁজতে থাকে যদিও কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। পরে মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুরের মধ্যে আরাধ্যার মৃতদেহ ভাসতে দেখে প্রতিবেশীরা। পুলিশে খবর দিলে শ্যামপুর থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পাঠায়।

এদিকে দোতলা বাড়ির সমস্ত দরজায় তালা দেওয়া থাকলেও কীভাবে ছোট্ট শিশু বাইরে বেরোল কে–ই বা তাকে বাইরে নিয়ে এলো সেটা নিয়ে বড়োসড়ো ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ঘটনায় পরিবারের কোনও সদস্য জড়িত আছে।

