পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ১২ জুলাই: তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় নির্দল সমর্থকদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতরভাবে জখম হয়েছে পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে ৯ জন নির্দল সমর্থক। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনার পরেই এলাকায় টহল শুরু হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর।
ঘটনায় গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন নির্দলের সমর্থক চন্দ্রকান্ত দে। এদিন তিনি বলেন, “সকালে ছেলেকে বাসস্ট্যান্ডে ছাড়ার জন্য গিয়েছিলাম, সেই সময় হঠাৎ তৃণমূলের লোকজন আমার উপর চড়া হয় এবং বেধড়ক মারধর করে মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। খবর পেয়ে আমাদের গ্রামের লোক ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। পুরুষ মহিলা সকলকেই মারধর করে তৃণমূলের লোকেরা। তিনি আরো বলেন, “ভোটের ফলাফল বেরনোর পর গতকাল রাত থেকে আমাদের গ্রামে তান্ডব চালায়। আমরা তৃণমূলকে ভোট দিইনি বলেই আক্রোশবশত আমাদের এভাবে মারধর করা হয়েছে “।
জানা গিয়েছে, ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন প্রদীপ পট্টনায়েক, বাদল দে, চন্দ্রকান্ত দে, স্বর্ণলতা দে, অভিজিৎ দেহুরী, জোৎস্না দন্ডপাট, রঞ্জু দন্ডপাট, উমা গুই, এরা সকলে ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিদ্যুৎ দে তপশিয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। প্রদীপ, চন্দ্রকান্ত, বাদল, স্বর্ণলতা, বিদ্যুৎ এদের মাথা ফেটেছে। বাদল দে-র মাথা, পা, হাত ও বুকের পাঁজর ভেঙ্গেছে। প্রদীপ, অভিজিতের হাত ভেঙ্গেছে। ঘটনার পর এলাকা থমথমে রয়েছে, মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গ্রামে টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও বেলিয়াবেড়া থানার পুলিশ।
যদিও এই মারধরের ঘটনা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে তৃণমূল। গোপীবল্লভপুর দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি টিঙ্কু পাল বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনোভাবেই যুক্ত নয়। নির্দলরা এলাকায় হেরে গিয়েছে, তাই তৃণমূলের নামে বদনাম করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নির্দলের লোকরাই ওই এলাকায় আমাদের তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের উপর হঠাৎ করে চড়াও হয়, পরে গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ করে। আমরা এই এলাকায় ব্যাপকভাবে জয়লাভ করেছি, ফলে আমাদের গন্ডগোল করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না”।

