আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৯ জানুয়ারি: ‘পণ নেব না’। এই বলে রবিবার শপথ নিলেন ৮১ জন যুবক। তাদের সঙ্গে অভিভাবকরাও উপস্থিত থেকে একই শপথ গ্রহণ করেন। পণপ্রথার বিরুদ্ধে যুবকদের উদ্বুদ্ধ করে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ। রবিবার রামপুরহাট হাসপাতাল পাড়ায় জামায়াতে ইসলামী হিন্দের পক্ষ থেকে ‘অভিশপ্ত পণপ্রথা ও প্রতিকার’ নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সংগঠনের নিজস্ব গৃহে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভায় অংশগ্রহণ করেন শতাধিক যুবক ও তাদের অভিভাবকরা। সেই সভায় অংশগ্রহণ করে জঘন্যতম পণ প্রথার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন সকলে। সভায় পণপ্রথা নিয়ে মাড়্গ্রাম খাদিমূল উলুম মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মুফতি মাহফুজ হোসেন, হীরালাল ভকত কলেজের অধ্যাপক চৈতন্য বিশ্বাস, আইনজীবী অনিন্দ্যকান্তি সিনহা, সমাজসেবী আলহাজ্ব মফিজুল ইসলাম পণপ্রথা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। সকলে পণের বিরুদ্ধে সরব হন। পণপ্রথার কুফল নিয়ে আলোচনা করেন। শেষে ৮১ জন যুবক শপথ নেন তারা পন নেবেন না।
মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার কেলাই গ্রামের যুবক সোমনাথ মার্জিত, রামপুরহাটের আব্দুল্লা আব্দুর রহমান, নলহাটির মধুরার আকবর আলিরা বলেন, “আমরা নিজেরা পণ নেব না। সেই সঙ্গে গ্রামে ফিরে গিয়ে বাড়ি বাড়ি পনপ্রথার বিরুদ্ধে প্রচার চালাব। মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলে কু-প্রথাকে নির্মূল করতে হবে”। অভিভাবক হাসিবুর রহমান বলেন, “আমি অনুষ্ঠানে ছেলেকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। আমার এক ছেলে এক মেয়ে। আমি ছেড়ে বিয়েতে পণ নেব না। ছেলেকে দিয়ে সেই অঙ্গীকার করলাম। তবে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সময় কি হবে বলতে পারছি না”।
জামায়াতে ইসলামী হিন্দের সভাপতি ডাঃ আমিন আহমেদ বলেন, “আমাদের ছোট্ট একটি সংগঠন। কিন্তু প্রয়াস বড়। আমরা মনে করি যারা পণ নিয়ে বিয়ে করছে তাদের বিবাহ অনুষ্ঠান বয়কট করা উচিত সকলের। সরকার এনিয়ে আইন করে দায়মুক্ত। কিন্তু তার বাস্তবায়ণের কোনও উদ্যোগ নেই। আমরা এদিন থেকে শুরু করলাম। প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। হয়তো একশো শতাংশ সফল হতে পারব না। তবে আমাদের উদ্যোগের ফলে কিছু মানুষকে যদি আমাদের আন্দোলনে সামিল করতে পারি তাহলে সফল হব। এদিন ৮১ জন যুবক আমাদের কাছে লিখিতভাবে পণ না নেওয়ার অঙ্গীকার করলেন। এরাই যদি গ্রামে ফিরে দুজন করে যুবককে সঙ্গে আনতে পারে তা হলেই জানব আমাদের প্রয়াস সফল”।