সারাদেশে ৭৪০টি একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল, ৩৮হাজার শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়্গ্রাম, ২২ ডিসেম্বর:
আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার উন্নয়নের জন্য, সারাদেশে ৭৪০টি একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল” চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রক এই কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। আজ ঝাড়গ্রামের বেতকুন্দরী ময়দানে তিনি, সাঁওতালি ভাষার সংবিধানের স্বীকৃতি মেলার ২১তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা দেওয়া হবে এই স্কুলগুলিতে। এজন্য দেশজুড়ে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বেরোবে। মোট ৩৮হাজার শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাঁর মন্ত্রকের। তিনি জানান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষক নিয়োগ করা যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ২০০টি একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল চলছে। তাঁর আশা, মার্চ মাসের মধ্যেই আরো অনেকগুলি একলব্য মডেল স্কুলের বাড়ি নির্মাণ হয়ে যাবে এবং সেখানে শিক্ষক নিয়োগ হয়ে যাবে। রাজ্য সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি জানান, এইসব স্কুলগুলিতে ভর্তির জন্য রাজ্য সরকার যেন স্ক্রিনিং এর কাজ চালু করে দেয়, যাতে এখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা সহজেই ভর্তির সুযোগ পায়। সেই সঙ্গে সঙ্গে তিনি জানান, পুরো দেশে আদিবাসী অধ্যুষিত ব্লকে এই স্কুল নির্মাণ হবে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারকে বেশি নজর দিতে হবে, সেই সঙ্গে কেন্দ্রের আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেই টাকা যেন ভালোভাবে ব্যবহার হয় এবং ভালোভাবে যোজনা চালু হোক।

পাশাপাশি, আদিবাসী ভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা মাওবাদীদের এক হাত নিলেন। এদিন ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপি কার্যালয়ে অর্জুন মুন্ডা বলেন, রেললাইন উড়িয়ে, বনধ ডেকে কোন সমস্যার সমাধান হয় না। রেললাইন পুড়িয়ে দেওয়া কিংবা অবরোধ করে আসলে উন্নয়নের কাজে বাধা সৃষ্টি করা। অপরদিকে, সংসদে বিরোধী দলের সাংসদদের সাসপেন্ড বিতর্কে এবং সংসদের বাইরে বিরোধী দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে এই করে মানুষের মনে জায়গা পাওয়া যায় না প্রত্যেকটা পদের একটা গুরুত্ব আছে। আর ইন্ডিয়া জোটের সদস্যদের এই কাজ দেখেই বোঝা যায় তারা কাকে কী সম্মান দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *