সোমবার সকাল থেকে ৭২ ঘন্টা ট্রাক ধর্মঘট! পুজোর আগে নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের

রাজেন রায়, কলকাতা, ১১ অক্টোবর: পুলিশ রাস্তায় অতিরিক্ত ফাইন করছে এবং তার বিনিময়ে ওভারলোডিং করতে দিচ্ছে না, এমন অভিযোগ বারবারই করেছিল ট্রাক মালিক সংগঠনের মালিকরা। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ কিছু হয়নি। ফলত প্রতিবাদের পথে হেঁটে
রাজ্য জুড়ে তিন দফা দাবিতে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত চলবে ট্রাক ধর্মঘট। আর তাতেই এবার মাথায় হাত পড়তে চলেছে আম জনতার।

সাধারণত ট্রাকের মাধ্যমেই ভিন রাজ্য থেকে পণ্য সরবরাহ হয়ে থাকে। কিন্তু ট্রাক ধর্মঘটের ফলে বিপর্যস্ত হবে সাধারণ জনজীবন। কারণ এই ট্রাকের মাধ্যমে প্রত্যেকদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য সরবরাহ হয়ে থাকে।

এই ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাঁদের দাবি, রাজ্যে অতিরিক্ত এক্সেল লোড চালু করতে হবে এবং ওভারলোডিং বন্ধ করতে হবে। অন্য রাজ্যে এক্সেল লোড চালু করা হয়েছে। এই রাজ্যে কেন্দ্রের মোটর ভেহিক্যালসের নিয়ম মেনে তা চালু করা হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন। এছাড়াও তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে ট্রাক মালিক ও চালকদের ওপরে প্রশাসনিক হয়রানি এবং জুলুমবাজি বন্ধ করতে হবে। বিভিন্ন সময়ে কখনও পুলিশ, কখনও মোটর ভেহিক্যালসের কর্মীরা অনৈতিক জুলুমবাজি চালান, অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, করোনাকালে রোড ট্যাক্স, পারমিট এবং ফিটনেসের ক্ষেত্রেও ছাড় দিতে হবে। সংগঠনের আরও হুঁশিয়ারি, রাজ্য দাবি না মানলে পুজোর পর সাড়ে রাজ্য জুড়ে ৬ লাখ ট্রাক কাজ করা বন্ধ করবে। পুজোর পরে লাগাতার ট্রাক ধর্মঘট চলবে।

এই ট্রাক ধর্মঘটে রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে আটকে যাবে হাজার হাজার ট্রাক। পাশাপাশি ভিন রাজ্যের লরিও ঢুকতে বাধা দেওয়ার জেরে রাজ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে ওড়িশা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, বিহার থেকে সবজি, মাছ, ডিম, ওষুধ সামগ্রী ঢুকতে পারবে না রাজ্যে। ফলে মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *