আমাদের ভারত, বারুইপুর, ২৯ নভেম্বর: বারুইপুর থানার পুলিশের তৎপরতায় আন্তঃরাজ্য মোবাইল চুরি চক্রের পান্ডা সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করল বারুইপুর জেলা পুলিশের কর্মীরা। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৪০ টি দামি মোবাইল ফোন, ৩ টে ল্যাপটপ। ধৃতদের নাম তাপস মন্ডল, সঞ্জয় মন্ডল, কাজি শাজাহান, সুকান্ত মন্ডল, সন্টু পুরকাইত, সুশিল শর্মা ও শেখ আমজাদ। ধৃতদের শুক্রবার দুপুরে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়।
শুক্রবার বারুইপুর জেলা পুলিস সুপারের অফিসে পুলিস সুপার রশিদ মুনির খান সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “এই চক্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গা সহ হাওড়ার ধূলাগড় ও আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলার চুরি চক্রের সাথে লেনদেন চালাচ্ছিল। দলের পান্ডা বারুইপুর থানার কল্যাণপুরের বাসিন্দা সুকান্ত মন্ডল”। সুকান্ত মূলত রিসিভারের কাজ করতো। ধৃতদের মধ্যে একজন টেকনেশিয়ান, আর বাকিরা সকলেই চোর। এদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। মোবাইল চুরির পর তার সমস্ত ডেটা উধাও করে সেই মোবাইলে নতুন ডেটা ইন্সটল করে সেটা বাইরে মোটা টাকায় বিক্রি করতো এই চক্র। দলের মধ্যে দুইজন গ্রাজুয়েট আর বাকি কয়েকজন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। এরা দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই এই কাজ করছিল বলে দাবি পুলিশের।
পুলিস সুত্রে খবর, মোবাইল চুরির তদন্তে নেমে বারুইপুর থানার এসআই তাপস মন্ডল প্রথমে নরেন্দ্রপুর থেকে এক মোবাইল চোর তাপস মন্ডল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বৃহস্পতিবার রাতে বারুইপুরের সুবুদ্দিপুর এলাকা থেকে আরও দুই মোবাইল চোর সঞ্জয় মন্ডল ও কাজি সাজাহানকে ধরে ফেলে পুলিশ। এদের কাছ থেকে জানা যায় কল্যানপুরের সুকান্ত মণ্ডল চোরাই মোবাইল জমা রাখে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে দক্ষিণ দুর্গাপুর থেকে টেকনেশিয়ান সন্টু পুরকাইতকে ধরে পুলিস। তার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় ১৪০ টি দামি মোবাইল ও ৩ টে ল্যাপটপ। ধরা হয় সুকান্ত মন্ডলের গাড়ির চালক সুশীল শর্মাকে। এই গাড়ি করেই মোবাইল ফোন বিভিন্ন এলাকায় সাপ্লাই হতো। সুকান্ত কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় যেত চোরদের কাছ থেকে মোবাইল কেনার জন্য। এরা একটা চেন হিসাবে কাজ করতো। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে আরও তদন্ত করে এই ঘটনায় বাকি জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করতে চলেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।