সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৯ জুলাই: থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধানকে ৭ দিনের ছুটিতে পাঠালো বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপে খুশি নয় পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, সাত দিনের মধ্যে ওই বিভাগীয় প্রধানের অপসারণ। তাকে অপসারণ করা না হলে লাগাতার কর্মবিরতির পথে যাবেন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগে গত শনিবার থেকে আন্দোলনে নামে বক্ষ বিভাগের পড়ুয়ারা। কলেজের অধ্যক্ষ ও সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তারা। পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে বিভাগীয় প্রধানকে সাত দিনের ছুটিতে পাঠালো কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধানের অপসারণের দাবিতে অনড় পড়ুয়ারা। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের বক্ষ বিভাগের পড়ুয়াদের দিনের পর দিন হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিভাগীয় প্রধান ডাঃ অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। রোগী পরিষেবার ক্ষেত্রে কর্তব্যে গাফিলাতি ও চিকিৎসক পড়ুয়াদের ক্রমাগত হুমকি সহ একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে এই বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান পড়ুয়ারা। এর পরেই হুমকি আরও বেড়ে যায় বলে অভিযোগ তুলে শনিবার থেকে আন্দোলন শুরু করে পড়ুয়ারা।
তাদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবনে বিষয়টি জানানোয় তাদের বিরুদ্ধে আরও খাপ্পা হয়ে উঠেছেন বিভাগীয় প্রধান। তারপরেই হাসপাতালের রোগী পরিষেবা স্বাভাবিক করা এবং পঠন পাঠনের পরিবেশ নির্ভয় রাখার দাবিতে গত শনিবার বিভাগীয় প্রধানকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে কলেজ কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের কাছ থেকে সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়ে নেয়। এর মধ্যে অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধানকে সাত দিনের ছুটিতে পাঠায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপে খুশি নয় পড়ুয়ারা। আগামী সাত দিনের মধ্যে ওই বিভাগীয় প্রধানকে অপসারণ করা না হলে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পড়ুয়ারা। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই তাদের রিপোর্ট পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্য ভবনে। স্বাস্থ্য ভবনের পরবর্তী নির্দেশের জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। স্বাস্থ্য ভবনের সিদ্ধান্ত অনুসারে পদক্ষেপ করবেন তারা।
বক্ষ বিভাগের চিকিৎসক পড়ুয়ারা জানান, অধ্যক্ষের প্রতিশ্রুতি মতো তারা আশানুরূপ ফলের আশায় আছেন। বছরের পর বছর তাদের ওপর মানসিক অত্যাচার ও নিগ্রহ করা হয়েছে। এই সাত দিনের মধ্যে অধ্যক্ষ কী ব্যবস্থা করেন তার অপেক্ষায় রয়েছেন। তারপর তারা আন্দোলনের গতিমুখ ঠিক করবেন।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, তদন্ত রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়েছে। তার জন্য কিছুটা সময় লাগবে। ওই বিভাগীয় প্রধানকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।