বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় খোঁজ নেই পুরুলিয়ার ৬ যাত্রীর

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৪ জুন: ওড়িশার বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনায় পুরুলিয়ার ৬ যাত্রীর কোনও খোঁজ নেই। কুড়ি জন যাত্রী ওই দুর্ঘটনার দুটি ট্রেনের যাত্রী ছিলেন। তার মধ্যে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ১৪ জনের। ওই ১৪ জনের মধ্যে ৬ জন ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে পুরুলিয়া জেলায় ৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১৪ জনের মধ্যে বাকি ৮ জনকে জেলায় অ্যাম্বুলেন্সে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলাশাসক রজত নন্দা।

রবিবার দুপুরে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের দেখতে যান জেলাশাসক ও অন্যান্য আধিকারিকরা। ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ ব্যানার্জি। তিনিও আহত ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। গত শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ৬ জনকে জেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে পুরুলিয়ায় আনা হয়। তার মধ্যে ২ আহত যাত্রীকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। অন্য ১ জনকে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন দিন পরও ঘটনার আকস্মিকতা কাটেনি ২ আহত প্রত্যক্ষদর্শীর। বাঘমুণ্ডির মাদলা গ্রামের গোবিন্দ সিং লায়া যশবন্তপুর ট্রেনের যাত্রী ছিলেন কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।

করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে ছিলেন বোরো থানার মাঝেরডি গ্রামের বিকাশ মাহাতো। তিনি কাজের খোঁজে চেন্নাই যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বালেশ্বরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি জানান, “বিকট শব্দে হুড়মুড়িয়ে পড়ে যান কামরায় থাকা যাত্রীরা। তারপর জ্ঞান ছিল না তাঁর। স্থানীয় মানুষের তৎপরতায় জ্ঞান ফিরলেও কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধাক্কা লাগে। ব্যাথা রয়েছে বলে জানান জেনারেল কামরায় থাকা ওই যাত্রীরা। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে জেলা প্রশাসন। সেই মতো পুরুলিয়ায় আনা হয় ৬ জনকে। বাকি ৮ জনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। বাকি ৬ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আহতরা পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পৌঁছানো মাত্র জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জি। চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং পাশে থাকার বার্তা দেন সভাধিপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *