আমাদের ভারত, ৮ আগস্ট: এস আই আর বিতর্কের মাঝেই রাজ্যে বাতিল হয়ে গেল ৫০০ ভোটার কার্ড। সিইও দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশি। কিন্তু তাদের এই দেশের ভোটার কার্ড ছিল। এই ঘটনায় বিজেপির দাবি যে অনেকাংশে ঠিক তা প্রমানিত হলো।
বিহারে এস আই আর শুরুর পর থেকেই তৎপর ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস। ইতিমধ্যেই ভুয়ো ভোটারের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সেই সমস্ত এলাকায় ইমিগ্রেশন আধিকারিকরা পৌঁছেছেন এবং খতিয়ে দেখছেন ভোটার কার্ড।
জানা যাচ্ছে গত তিন মাসে ৫০০ জনের ভোটার কার্ড পাওয়া গেছে যারা আদতে বাংলাদেশি। কিন্তু তাদের এদেশের ভোটার কার্ড রয়েছে। বিমানবন্দর, বনগাঁ সহ একাধিক জায়গায় ইমিগ্রেশন আধিকারিকরা এই বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন। এই ধরনের ভোটার কার্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা করেছেন।
বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিতদের ভোটার কার্ড বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবারও এরকম দু’জনের ভোটার কার্ড পাওয়া গিয়েছে যারা আসলে বাংলাদেশি।
এই দুজনের তথ্য মুখ্য সচিবকে দিয়েছে কমিশন। দু’জনের কাছেই ভুয়ো ভোটার কার্ড ছিল। কমিশন সূত্রে খবর, যাদের এখনও পর্যন্ত ভোটার কার্ড বাতিল করা হয়েছে তারা অন্য কোন দেশেরই নয়, তারা কেবলই বাংলাদেশের বাসিন্দা। ফলে বিষয়টি কমিশন অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
এমনিতে এস আই আর বিতর্কে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বিহারের পর বাংলায় স্পেশাল ইনটেন্সিভ রিভিশন শুরু করতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নবান্নের তরফে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অধিকারীককে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, রাজ্য এখন এসআইআরের জন্য প্রস্তুত নয়। এরপর বাংলায় ভোটার তালিকার সংশোধন নিয়ে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার হুঁশিয়ারী একজন ভোটার বাদ গেলেও তারা লক্ষ মানুষের জমায়েত করে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করবে, বড়সড় হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও।