সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৪ সেপ্টেম্বর: শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এবছর রাজ্য সরকারের ‘শিক্ষারত্ন ‘ পুরস্কার পাচ্ছেন পুরুলিয়া জেলার পাঁচজন শিক্ষক ও অধ্যাপক।
২ নম্বর ব্লকের লক্ষ্মণডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার ওঝা। ওই ব্লকের দুমদুমি গ্রামের বাসিন্দা তপনবাবু। গ্রামের শিক্ষকের এমন খবরে খুশি স্থানীয় মানুষ থেকে জেলার সর্বস্তরের মানুষ। ১৯৯৯ সালে চাকরিতে যোগদান করেন তপন কুমার ওঝা। পুরুলিয়ার উচালি বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ২০০৫ সালে পুরুলিয়ার দুই নম্বর ব্লকের লক্ষ্মণডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৭ সালে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হন তপন বাবু। স্থানীয় গ্রামবাসীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কুল ছুট কমিয়েছেন। স্থানীয় আশপাশের গ্রামে গ্রামে ঘুরে পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে বিশেষ উদ্যোগ নেন। তার উদ্যোগে বিদ্যালয়ে এসেছে নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার। তার উদ্যোগে গ্রামে হয়েছে জুনিয়র হাইস্কুল। এমনকি খেলাধুলায় স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের বহু পুরস্কার এসেছে তার উদ্যোগে। এলাকায় শিক্ষা প্রসারে বিশেষ অবদানের জন্য এই স্বীকৃতি বলে জানান তপন কুমার ওঝা।
৩১ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত পুরুলিয়া জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক বারিদবরণ মিশ্র এবার শিক্ষারত্ন সম্মান পাচ্ছেন। তাঁর এই সম্মান শিক্ষকতার নেশাকে আরও উৎসাহিত করে তুলবে বলে আশাবাদী তিনি। অবসর জীবনেও শিক্ষকতায় ব্রত থাকবেন বলে তিনি সংকল্প নিয়েছেন।
এছাড়া, পুরুলিয়ার জগন্নাথ কিশোর কলেজের অধ্যক্ষ শান্তনু চট্টোপাধ্যায় এই সম্মান পাচ্ছেন। পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুব্রত রাহা ও দেবাশীষ টক শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন। পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষক দিবসের দিন এই পুরস্কার তুলে দেবেন।

