আমাদের ভারত, ১৫ জুন: মাত্র ৪০ দিনে পাঁচটি হেলিকপ্টার ভেঙ্গে পড়েছে চারধাম যাত্রার পথে। কপ্টার যাত্রা একরকম আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে। রবিবার কেদারনাথ থেকে গুপ্ত কাশি যাওয়ার পথে আরিয়ান এভিয়েশনের একটি হেলিকপ্টার গৌরীকুন্ডের জঙ্গলে ভেঙ্গে পড়ে। কপ্টারে থাকা সাত জনেরই মৃত্যু হয়েছে।
এই দুর্ঘটনার পর থেকে প্রশ্ন উঠেছে বারবার চারধাম যাত্রায় দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে কেন? রবিবার ভোট ৫টা ২০ নাগাদ ৬ জন যাত্রীকে নিয়ে উড়ে যায় হেলিকপ্টারটি। এদের মধ্যে পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক একজন শিশু ছিল। যাত্রীরা উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের বাসিন্দা ছিল। মাঝ আকাশে খারাপ আবহাওয়া হওয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যায় বলে প্রাথমিক অনুমান। গৌরীকুন্ডু এবং সোনপ্রয়াগের মাঝে একটি জঙ্গলে কাপ্টারটি ভেঙ্গে পড়ে। সেখানে কাপ্টারের চালক সহ সাতজন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আগামী দু’দিন কপ্টারের পরিষেবা বন্ধ রাখবে উত্তরাখন্ড প্রশাসন।
মর্মান্তিক ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠেছে এই হেলিকপ্টার যাত্রা কি সুরক্ষিত? কারণ ২ মে থেকে কেদারনাথের দরজা পূর্ণর্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার পর এই নিয়ে পঞ্চম বার দুর্ঘটনার কবলে পড়ল হেলিকপ্টার পরিষেবা। গত ৭ জুন একটি বেসরকারি কপ্টার টেক অফের পরেই ভেঙ্গে পড়ে। পাঁচজন যাত্রী ছিলেন তাতে। তবে দুর্ঘটনার জেরে কিছু অংশ ভেঙ্গে গেলেও যাত্রীরা অক্ষত ছিল। তার আগে মে মাসে মাত্র ১১ দিনের মধ্যে তিনবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে কপ্টার। চারধাম রুটের হেলিকপ্টার ৮ মে গঙ্গোত্রীগামী একটি কপ্টার ভেঙ্গে পড়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়। একজন গুরুতর আহত হয়। তার চারদিন পরে একটি কপ্টার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তারপর যদিও তাকে নিরাপদে নামানো সম্ভব হয়েছিল। এই ঘটনার পাঁচ দিন পর ১৭ মে ঋষিকেশে ভেঙ্গে পড়ে একটা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। হেলিপ্যাড- এর কাছে সেই দুর্ঘটনা হয়।
এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ি এলাকায় কপ্টার চালানো যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা। তাহলে কেন বারবার এই অঞ্চলে কপ্টার পরিষেবার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।