আমাদের ভারত, ৭ মে: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব কিছুই ৪২০-র আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে। ওটা ওনার পছন্দের সংখ্যা।
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কর্মীদের চল্লিশটি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
রবিবার হুগলির চন্ডীতলায় দলীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের দলের কর্মীদের জন্য ৪০টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, স্বপ্ন দেখতে তো মানা নেই। স্বপ্ন দেখতেই পারেন। কিন্তু সবকিছু কেমন যেনো ৪২০ -র আশেপাশে ঘুরছে। এর আগে বলেছিলেন, বিধানসভায় ২৪০ আসনে জিততে হবে। একটু এদিক ওদিক করে নিলেই ওটা ৪২০ হয়ে যাবে। আবার বলছেন লোকসভায় ৪০ আসন জিততে হবে। সেখানেও মাঝখানে একটা দুই বসিয়ে নিলে ৪২০ হয়ে যাবে। উনার হয়ত প্রিয় সংখ্যা ৪২০।
মালদায় তৃণমূল কর্মীদের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, গোটা মালদা, মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে তৃণমূলের ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বিশেষত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছে। তাঁর দাবি, মানুষ সম্মানের সঙ্গে রাজনীতি করে। তৃণমূল থেকে কেউ চোর চোর স্লোগান শুনতে চাইছে না, তাই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।
শুভেন্দু অধিকারীর পিছনের খেলা মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, ডিএ মামলা কেন পিছিয়ে যাচ্ছে? আমরা চাই কোর্ট শুনানি করে রায় দিক, রাজ্য সরকার ডিএ দেবে কি না।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির কুড়মিদের নিয়ে করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুকান্ত বাবু বলেন, তৃণমূলকে উচিত শিক্ষা দেবে কুড়মিরাই। কুড়মিরা তাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছে। তাদের মধ্যে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তাভাবনা নেই।
ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সোনালী গুহর উপস্থিতি নিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, সোনালী গুহ অনেকদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। বর্তমানে তিনি সক্রিয়ভাবে বিজেপি করেন না। ওনার ব্যাপারে দল আগামীতে সিদ্ধান্ত নেবে।