আমাদের ভারত, ২৪ জুন: ১০টি পরমাণু বোমা তৈরির জন্য ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম যথেষ্ট। ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন হামলার পর এই ৪০০ কেজি ইউরেনিয়ামের খোঁজ মিলছে না। তাহলে কি ওই পরিমাণ ইউরেনিয়াম হামলার আগেই সরিয়ে ফেলেছিল তেহরান? এই প্রশ্নে চিন্তায় ঘুম উড়েছে হোয়াইট হাউসের।
মঙ্গলবার আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতি জে ডি ভান্স মার্কিন সংবাদপত্র এবিসিকে জানান, ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রের ছয়টি বাঙ্কার বাস্টার নিক্ষেপের পর থেকে উধাও ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম। উল্লেখ্য, যুদ্ধের আগেই জানা গিয়েছিল ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে ইরান। সেটা ৯০% হলেই আণবিক অস্ত্র তৈরি সম্ভব। এই আশঙ্কাতেই ইসরায়েল ও আমেরিকা যৌথভাবে হামলা চালায় ইরানে।
কিন্তু মার্কিন হামলার দু’দিন আগে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে সারি সারি ট্রাক দেখা গিয়েছিল। প্রকাশ্যে এসেছিল ফোরদোহা পরমাণু কেন্দ্রের একাধিক উপগ্রহ চিত্র। ১৯ জুনের ওই ছবিতে ষোলটি মালবাহী ট্রাক দেখা গিয়েছিল। তখনই জল্পনা ছড়ায় মার্কিন বোমারু বিমানের হামলার আগে প্রয়োজনীয় পরমাণুর সরঞ্জাম গোপন আস্তানায় সরিয়ে ফেলেছে ইরান। এখন সেই আশঙ্কার কথা উঠে আসছে মার্কিন উপরাষ্ট্রপতির বক্তব্যে।
রবিবার ভোরে ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। মধ্য প্রাচ্যের এই লড়াইয়ে আমেরিকা সরাসরি জড়িয়ে পড়ায় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা ঘনীভূত হয়। তেহারান পাল্টা হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটনের মতো গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন শহরগুলিতেও সতর্কতা জারি হয়। যদিও মধ্যপ্রাচ্যেরই একাধিক মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান, যার মধ্যে অন্যতম সিরিয়া, ইরাক, কাতার। এরপরেই মঙ্গলবার ভোর রাতে সংঘর্ষ বিরতির কথা ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই প্রস্তাবে ইসরায়েল রাজি হলেও প্রথমে তাতে আনুষ্ঠানিক সম্মতি দেয়নি ইরান।